মাটন, চিকেন সঙ্গে এক ডজন আইটেম! এই রেস্তোরাঁয় সস্তায় মিলছে জিভে জল আনা খাবার

মাটন, চিকেন সঙ্গে এক ডজন আইটেম! এই রেস্তোরাঁয় সস্তায় মিলছে জিভে জল আনা খাবার

শিলিগুড়ি: বাঙালি যে ভোজনবিলাসী, তা সকলেই জানে।বাড়িতে হোক কিংবা বাইরে, বাঙালি সুস্বাদু রান্না পেলে এই শহরের মানুষ আর কিছু চায় না। সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা। আর সঙ্গে যদি থাকে রাজকীয় পরিবেশনের ব্যবস্থা, তবে আর কথাই নেই। তখন বারবার মনে হবে যত খুশি খাই। এ বার কালী পুজোয় বাঙালির সেই সাধ পূরণে মাতঙ্গিনী ক্যাটারার নিয়ে এসেছে ‘যত খুশি খাব’ ট্যাগলাইনের সঙ্গে তাদের পুজো স্পেশাল মেনু। সেখানে খাদ্যরসিকরা তাঁদের পছন্দমতো খাবার যত খুশি খেতে পারবেন।

‘যত খুশি খাব’ অফারের জন্য দুটি মেনু রয়েছে। একটিতে স্যালাড থেকে শুরু করে ভাত, শুক্তো, কবিরাজি মুগডাল, ভাজা, কচু শাক, ছোট মাছ, শুঁটকি, চিকেন মশলা, চাটনি, মিষ্টি, রায়তা রয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। আরেকটিতে আছে মাটন মশলাও। আর এসব পাওয়া যাবে শুধুমাত্র ২৬০ ও ৩৬০ টাকায়। পুজোয় ভোজনরসিকদের তাই ডেস্টিনেশন হতেই পারে আশিঘর মোড়ের কাছে মাতঙ্গিনী ক্যাটারারের নতুন রেস্তোরাঁ ‘চলো বাংলায়’। এই উৎসবের মরশুমে অফারটি চলবে। রেস্তোরাঁতেও পুরোনো দিনের ছোঁয়া রয়েছে। রিকশার আদলে তৈরি চেয়ার, হারিয়ে যাওয়া টেলিফোন বুথ, দেওয়ালে উত্তম-সুচিত্রার স্কেচ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এ বছর পুজোয় স্পেশাল অফারের পাশাপাশি ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে থাকছে কম্বো মেনুতে বিশেষ ছাড় রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে মাতঙ্গিনী ক্যাটারার তার পথ চলা শুরু করে। দেখতে দেখতে প্রায় ২৫ বছর হতে চলল। খাবার থেকে শুরু করে পরিবেশনেও তাদের সাবেকিয়ানার ছোঁয়া রয়েছে। কাঁসার থালায় কুলোর মধ্যে তাতে খাবার পরিবেশন করা হয়। সঙ্গে থাকে কাঁসার কিংবা মাটির গ্লাস। আর যাঁরা পরিবেশন করেন, তাঁদের ড্রেস কোডেও থাকে ধুতি-পাঞ্জাবি।শীতকালে মেনুতে আবার পাটিসাপটা, মালপোয়াও যোগ হয়েছে। মাতঙ্গিনী ক্যাটারারের অন্যতম কর্নধার সঞ্জীব কুমার দাস বলেন, “বাঙালি যেমন খেতে ভালবাসে, আমরা তেমন খাওয়াতেও ভালোবাসি। বহু বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে এই কাজ করে আসছি। দুর্গাপুজোয় দারুন রেসপন্স পেয়েছি, আশা করছি কালীপুজোতে ও ভিড় হবে।”

(Feed Source: news18.com)