বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় দাঁতনের যুবক! কৃতিত্ব জানলে অবাক হবেন

বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় দাঁতনের যুবক! কৃতিত্ব জানলে অবাক হবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকায় দাঁতন থেকে সোমবার সারা বিশ্বের কাছে প্রশংসিত এক যুবক, গৌরবান্বিত  করেছে দেশকে। ইলেকট্রিক গাড়ির সুপার ক্যাপাসিটর বানিয়ে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় জায়গা করেছে দাঁতনের যুবক সুমন্ত সাহু।

বর্তমানে দূষণহীন ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বাজারে বাড়ছে। ভারতের বাজারেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলেকট্রিক চালিত গাড়ির সংখ্যা। গাড়ির রিচার্জেবল ব্যাটারির গতানুগতিক ক্যাপাসিটারকে আরও কতটা উন্নত করা যায় তা নিয়ে নানা গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। ব্যাটারির গতানুগতিক ক্যাপাসিটর থেকে সুপার ক্যাপাসিটর বানিয়ে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম তুললেন দাঁতনের সুমন্ত সাহু।

সুপার ক্যাপাসিটর ব্যাটারির ইলেকট্রোড নির্মাণে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের তালিকায় দু’বার নাম তুললেন সুমন্ত। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত বিশ্বের মাত্র দুই শতাংশ বিজ্ঞানীদের নাম রয়েছে এই তালিকায়, আর তারমধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন এই ভারতীয় এই যুবক।

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে জন্ম সুমন্তর। বাবা ছিলেন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। ছোট থেকেই মেধাবী সুমন্তর ইচ্ছে ছিল দেশ-দশের নাম উজ্জ্বল করার। দাঁতন হাইস্কুল থেকে পড়াশুনা করেন তিনি। পরে মেদিনীপুর কলেজ এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেন। ২০১৩ সালে খড়গপুর আইআইটি থেকে ডক্টরেট করার পর  ডক্টরাল করে কোরিয়াতে আন্তর্জাতিক গবেষক হিসেবে নিযুক্ত হন।

২০১৫ তে কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক গবেষক হিসেবে অধ্যাপনা শুরু করেন। এরপর ভারতে ফিরে অন্ধ্রপ্রদেশে একটি প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েক বছর অধ্যাপনার কাজ করলেও ফের তিনি দক্ষিন কোরিয়াতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। পাশাপাশি বর্তমানে সুপার ক্যাপাসিটর নিয়ে গবেষণাও চালাচ্ছেন।

 দেশ বিদেশের বহু জার্নালে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন সুমন্ত। সম্পাদনা করেছেন বইয়েরও। সুমন্তর এই কৃতিত্বে গর্বিত দাঁতন, গর্বিত পরিবার-পরিজন থেকে আত্মীয়-স্বজনেরা।

(Feed Source: news18.com)