জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র ধরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার কর্মকর্তাদের ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যে প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থন করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন।
উত্তর কোরিয়ার উপর তার পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অতীতে হামাসের কাছে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট লঞ্চার বিক্রি করেছে তাঁরা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই যুদ্ধের মাঝেই উত্তর কোরিয়া আরও অস্ত্র রপ্তানির চেষ্টা করতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির পরিচালক কিম কিউ-হিউন আইনপ্রণেতাদের বলেছেন যে কিম জং উন যুদ্ধ থেকে লাভবান হওয়ার জন্য প্যালেস্টাইনের জন্য সমর্থনের ডাক দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
হামাসের পোস্ট করা ছবি এবং ভিডিও থেকে প্রমাণ পাওয়ার পরে মনে করা হচ্ছ যে ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে আক্রমণ চালানোর সময় তাদের যোদ্ধারা সন্দেহজনক উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র ব্যবহার করেছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তা এবং উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রের দুই প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞের মতে, হামাস সম্ভবত একটি উত্তর কোরিয়ার F-7 রকেট চালিত গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। এটি একটি কাঁধে রেখে চালানোর অস্ত্র যা সাধারণত সাঁজোয়া গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়।
এর আগে পাওয়া আরও একটি ভিডিয়ো প্রমানে দেখা গিয়েছে যে হামাস সন্ত্রাসবাদীরা উত্তর কোরিয়ার বুলসায়-গাইডেড অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল ব্যবহার করছে।
গত সপ্তাহে, পিয়ংইয়ং হামাসের অস্ত্র ব্যবহার করার দাবিকে বাতিল করে এবং দাবি করে যে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত একটি ‘ভিত্তিহীন এবং জাল গুজব’।
গত মাসে, উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রক গাজা উপত্যকার আল-আহলি আল-আরবি হাসপাতালে বোমা হামলার জন্য ইজরায়েলকে অভিযুক্ত করে বলেছিল যে এটি ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছদ্মবেশী পৃষ্ঠপোষকতায়’ যুদ্ধাপরাধ করেছে।
ইজরায়েল বলেছে যে হামাসের একটি ব্যর্থ রকেট উৎক্ষেপণের কারণে বিস্ফোরণটি ঘটেছে এবং নিজেরা এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে।
(Feed Source: zeenews.com)