‘রাত নষ্ট হচ্ছে, আগে বিয়ের ব্যবস্থা করুন’, ভোটের কাজ এড়াতে DM-কে চিঠি শিক্ষকের

‘রাত নষ্ট হচ্ছে, আগে বিয়ের ব্যবস্থা করুন’, ভোটের কাজ এড়াতে DM-কে চিঠি শিক্ষকের

আগামী ১৭ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে মধ্যপ্রদেশে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে শিক্ষকদের। তার জন্য ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, সেই প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত থাকলেন। মধ্যপ্রদেশের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। তিনি কেন অনুপস্থিত ছিলেন? জেলা শাসকের এমন নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষক যা উত্তর দিলেন তাতে তাজ্জব জেলা শাসক থেকে শুরু করে সকলে। উত্তরে স্কুল শিক্ষক জানিয়েছেন, আগে তাঁর বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই তিনি প্রশাসনের কাজে যোগ দেবেন। শিক্ষকের এমন উত্তরকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এই ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন জেলা শাসক।

জানা জানা গিয়েছে, শিক্ষকের নাম অখিলেশ কুমার মিশ্র। তিনি সাতনা জেলার অমরপাটনের মহুদারে একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সাতনা জেলার সরকারি স্কুল শিক্ষকদের ১৬–১৭ অক্টোবর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, ৩৫ বছর বয়সি ওই শিক্ষক প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতির কারণ দর্শানোর জন্য শিক্ষককে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন জেলা শাসক অনুরাগ বর্মা। তার প্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর ওই শিক্ষক চিঠি পাঠিয়ে জেলা শাসককে উত্তর পাঠিয়েছিলেন। তাতেই তিনি লিখেছিলেন, ‘ বউ ছাড়া আমার বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। আমার রাত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আগে আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন।’ শিক্ষকের এমন উত্তরে অবাক জেলাশাসক। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক অবিবাহিত। তবে শুধু এমন উত্তর দিয়েই থেমে থাকেননি শিক্ষক। তিনি যৌতুকের কথাও বলেছেন। শিক্ষক লিখেছেন, ‘আমি যৌতুকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা চাই। নগদ বা অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট হলেও চলবে। এছাড়া, সিঙ্গরাউলি টাওয়ার বা সামদারিয়া আবাসনে আমাকে একটি ফ্ল্যাট দেওয়ার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে।’ শিক্ষকের এই উত্তরে অবশ্য বাকরুদ্ধ জেলাশাসক। তিনি বলেন, ‘আমার কিছুই বলার নেই।’

এরপর জেলাশাসক ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন। শিক্ষক দাবি করেছেন, তাঁর হাত ভেঙে গিয়েছে এবং তিনি মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভুগছেন। এদিকে, প্রশিক্ষণে উপস্থিত না থাকায় আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কারণ তিনি ফোন ব্যবহার করেন না।

(Feed Source: hindustantimes.com)