‘৭ অক্টোবরের হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটবে’, হুঙ্কার হামাস নেতার! এবার আরও বড় যুদ্ধ?

‘৭ অক্টোবরের হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটবে’, হুঙ্কার হামাস নেতার! এবার আরও বড় যুদ্ধ?

কলকাতা: ইজরায়েল ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত গত ৭ অক্টোবরের হামলা চালিয়ে যাওয়া হবে। এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানিয়েছেন হামাস নেতা গাজি হামাদ। আরব-দেশীয় একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে, “ইজরায়েলকে শেষ না করা পর্যন্ত আমরা গত ৭ অক্টোবরের মতো হামলার পুনরাবৃত্তি করে যাব।”

সেই সঙ্গে জোর দিয়ে ওই হামাস নেতা এ-ও বলেন যে, “ইজরায়েলের টিকে থাকার কোনও অধিকার নেই। আমরা আসলে হামলার শিকার। ফলে আমরা যা যা করি, তার প্রত্যেকটিই ‘ন্যায়সঙ্গত’। আমাদের প্রতিটি হামলাই ‘ন্যায়সঙ্গত’ এবং আমরা তাই চুপ করে বসে থাকব না।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমরা এটাও জানি যে, এর জন্য আমাদের কী মূল্য চোকাতে হবে! কিন্তু আমরা সেই বিষয়টা নিয়ে ভাবছিই না। আমরা চাই, মুসলিম এবং আরব দেশগুলি এগিয়ে এসে আমাদের পাশে দাঁড়াক।”

বুধবার প্যালেস্তাইনি জঙ্গিগোষ্ঠীর আর এক নেতা ইসমাইল হানিয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, গাজার যুদ্ধে নিজেদের পরাজয় ধামাচাপা দিতে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইজরায়েল। প্রসঙ্গত, এই হানিয়ের ইসলামিক গোষ্ঠীই গত ৭ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে ইজরায়েলের উপর আঘাত হেনেছিল। যার জেরে গাজার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠীর ওই নেতার অভিযোগ, নিরস্ত্র নিরীহ নাগরিকদের উপর বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইজরায়েল। আল জাজিরা-য় সম্প্রচার করা এক বক্তব্যে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, এর খলনায়কত্ব দুর্দান্ত পরাজয়ের থেকে তাদের রক্ষা করতে পারবে না।

ইজরায়েল আধিকারিকদের মতে, হামাসের হামলায় ইজরায়েলে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৪০০ মানুষ। এর মধ্যে অধিকাংশই নাগরিক। সেই হামলার জবাবেই কয়েক সপ্তাহ ধরে ইজরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং আরও সাম্প্রতিক স্থলপথে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অন্য দিকে হানিয়ে বলেন যে, “গত ৭ অক্টোবরের হামলার আগে হামাস ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছিল। আর তার ফ্যাসিবাদী সরকার নিজেদের বিতর্কিত নীতি চালিয়ে যাবে।”

যুদ্ধ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান:
ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)-এর মতে, ইতিমধ্যেই বিদেশি পাসপোর্টধারীদের এবং গুরুতর জখম প্যালেস্তাইনিদের মিশর সীমান্ত পার করানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় ২০ হাজারেরও বেশি আহত মানুষ এখনও আটকে রয়েছে।

এমএসএফ এ-ও বুধবার গুরুতর জখম বহু মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা একটি বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে। সেই সঙ্গে তারা এ-ও জানিয়েছে যে, রাফা সীমান্ত পার করে গাজা থেকে যাঁদের সরানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন গাজায় নিযুক্ত ওই সংগঠনের ২২ জন আন্তর্জাতিক কর্মীও। তবে গাজায় অবরোধের কারণে এখনও পর্যন্ত সেখানকার প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি নাগরিক পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে না।

ইজরায়েলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন যে, ইতিহাসের সর্বকালের সবথেকে খারাপ হামলার প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় নির্বিচারে আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েল। কারণ আগে হামাস বন্দুকবাজেরা সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলা চালিয়েছিল। যার বলি হয়েছে প্রায় ১৪০০ মানুষ। এর মধ্যে অধিকাংশই দেশের নাগরিক। অন্য দিকে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, বোমাবর্ষণের ফলে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৮৭৯৬ জন।

রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং ত্রাণ গোষ্ঠীগুলি ইতিমধ্যেই গাজা উপত্যকার অভ্যন্তরে বিপর্যয়কারী মানবিক পরিস্থিতির জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এর পাশাপাশি সতর্কতামূলক বাণীতে তারা এ-ও জানিয়েছে যে, গাজা উপত্যকার প্রায় ২৪ লক্ষ বাসিন্দার হাতে এখন খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই।

(Feed Source: news18.com)