আসলের নামে বিক্রি হচ্ছিল নকল ব্যাগ, বর্ধমানে অভিযান পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার

আসলের নামে বিক্রি হচ্ছিল নকল ব্যাগ, বর্ধমানে অভিযান পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার

শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: নামি ব্র্যান্ডের নাম ও লোগো নকল করে চলছিল বিভিন্ন ধরণের ব্যাগ বিক্রি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালাল জেলা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা ও বর্ধমান থানার পুলিশ। বর্ধমানে এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নামকরা ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থার নামের ব্র্যান্ড নকল করে বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ব্যাগ। সোমবার বর্ধমানের দত্ত সেন্টারে এই নকল ব্যাগ বিক্রয়কারী একাধিক দোকানে অভিযান চালায় জেলা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ব্যাগ কোম্পানির নাম ছাপা এবং একই উচ্চারণের অন্য বানান ব্যবহার করা প্রায় ৩১৬ টি ব্যাগ।

দত্ত সেন্টারের একটি ব্যাগ বিক্রয়কারী দোকানের কর্ণধার অমল দেবনাথ বলেন, ‘‘আমি সারাবছর বিভিন্ন কোম্পানির নাম লেখা ব্যাগ কিনে এনে বিক্রি করি। কোনওদিন নকল ব্যাগ বিক্রির অভিযোগ ওঠেনি। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তি আমার দোকানে এসে সাড়ে তিনশো পিস ‘সাফারি’ নাম লেখা ব্যাগের অর্ডার দিয়ে যান। সেইমত আমরা যেখান থেকে তা কিনি ,সেই কোম্পানিকে অর্ডার পাঠিয়ে ব্যাগ মজুদ করেছিলাম। সেই ব্যাগগুলোর ওপরে কোনোটাতে ইংরেজি তে ছাপা লেখা ছিল Safari, আবার কোনও ব্যাগের ওপর বানান লেখা ছিল Saffari, তো কোনওটার ওপর Safarri।

সোমবার পুলিশ এসে আমাকে জানায়, আমি নাকি সাফারি কোম্পানির নাম নকল করে  ব্যাগ বিক্রি করছি। এতে আমার কি দোষ আছে! এই রকম বহু নামী কোম্পানির নাম লেখা বিভিন্ন প্রডাক্ট বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানি তৈরি করে দিচ্ছে বলেই তো আমাদের কাছে আসছে। এখন এই বাজারের যা অবস্থা, তার মধ্যে ৭০-৮০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে যদি কোর্ট কাছারি করতে হয়, তার চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারে না।’’

আই পি এনফোর্সমেন্ট ব্র্যান্ড প্রটেকশন ও রিস্ক ম্যানেজমেন্টের তদন্তকারী অফিসার সৈয়দ মঈনুদ্দিন বলেন, সাফারি কোম্পানির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে একটা অভিযোগ জমা পড়েছিল যে বাজারে সেই কোম্পানির নাম ও লোগো ব্যবহার করে নকল ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে বর্ধমানের দত্ত সেন্টার মার্কেটে বেশ কয়েকটি দোকানে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার সহযোগিতায় সেই সমস্ত দোকানে অভিযান চালানো হয়।

(Feed Source: news18.com)