ইজরায়েলে ভারতীয়দের জন্য কর্মসংস্থান সম্ভাবনা! কোনক্ষেত্রে ক’টি শূন্যপদ

ইজরায়েলে ভারতীয়দের জন্য কর্মসংস্থান সম্ভাবনা! কোনক্ষেত্রে ক’টি শূন্যপদ

ইজরায়েলে এবার কাজ করার অনুমতি পেতে পারে ভারতীয় শ্রমিকরা! বড় কর্মসংস্থানের খবর এল যুদ্ধের মাঝেই। সম্প্রতি ইজরায়েলে প্রায় এক লাখ শ্রমিকের চাহিদা তৈরি হয়েছে। তবে যুদ্ধই এই চাহিদার নেপথ্যে রয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। যুদ্ধের আগে ইজরায়েলে কমবেশি ৯০ হাজার প্যালেস্তাইনি কাজ করতেন। এরা যুক্ত ছিলেন নির্মাণ শিল্পে। তবে যুদ্ধ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই এদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই ৯০ হাজার শ্রমিকের শূন্যপদ পূরণ করতেই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।  ইজরায়েল নির্মাণ শিল্পের সংগঠন এর পিছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। এত শূন্যপদ নিয়ে নির্মাণ শিল্প চালানো সম্ভব নয়। তাই শ্রমিকের চাহিদা জোগাতেই ইজরায়েল সরকারকে এই আবেদন করেছে তাঁরা।

গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে আকস্মিক হামলা করে জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস‌। প্যালেস্তাইনের এই জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার পরেই  যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। ভৌগোলিক দিক থেকে সুবিধাজনক স্থানেই রয়েছে ইজরায়েল। যার পুরো ফায়দা তুলে যুদ্ধ নেমেছে এই দেশ। একমাস ধরে চলছে ইজরায়েল প্যালেস্তাইনের এই যুদ্ধ। এর মাঝেই বড় পরিকল্পনা করে ইজরায়েল বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন। ভারত থেকে শ্রমিক আনার জন্য সরকারের সঙ্গে রফায় আসছে ওই অ্যাসোসিয়েশন। এই দিন সংবাদমাধ্যম ‘ভয়েস অব আমেরিকা’কে ইজরায়েল বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি হেইম ফেগলিন বলেন, তাঁরা ইজরায়েল সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। ভারত সরকারের সঙ্গে একটা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছেন। কমবেশি ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ শ্রমিক নিয়োগ করার কথা ভাবছে ইজরায়েল বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন।

ইজরায়েলের নির্মাণ শিল্পের ২৫ শতাংশ শ্রমিকই প্যালেস্তাইনি। এর মধ্যে আবার ১০ শতাংশ শ্রমিক গাজার বাসিন্দা।‌ স্বাভাবিকভাবেই তাদের উপর পড়েছে যুদ্ধের আঁচ। যুদ্ধ শুরুর পরই তাদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল হয়ে যায়। যার ফলে এখন আতান্তরে পড়েছে গোটা দেশের নির্মাণশিল্প। ভারত সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতা সম্ভব হলে প্রায় ১ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত হতে পারে। তবে এখনই এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তবে গত মে মাসে ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে ইজরায়েলের ‌। তাতে ৪২ হাজার কর্মী ইজরায়েলে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছে নার্সও। তবে বেশিরভাগই কর্মীই নির্মাণ শ্রমিক।

(Feed Source: hindustantimes.com)