ট্রেনে মৃত্যু ব্যক্তির, মৃতদেহের সঙ্গে ৬০০ কি.মি. সফর করতে বাধ্য হলেন বাকিরা

ট্রেনে মৃত্যু ব্যক্তির, মৃতদেহের সঙ্গে ৬০০ কি.মি. সফর করতে বাধ্য হলেন বাকিরা

সঙ্গে মৃতদেহ, আর তার সঙ্গেই ট্রেন সফরে ৬০০ কিলোমিটার যাত্রা রেলযাত্রীদের। এমনটা কেউ জেনে বুঝে করেননি, বরং বাধ্য হয়েছেন করতে। এমনই দাবি এক রিপোর্টের। ঘটনা তামিলনাড়ুর সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেসের। ট্রেনটি যাচ্ছিল, চেন্নাই থেকে হজরত নিজামুদ্দিনের দিকে। তখনই ঘটে এই কাণ্ড।

তামিলনাড়ুর চেন্নাই থেকে হজরত নিজামুদ্দিনের ৬০০ কিলোমিটার যাত্রায় যাত্রীদের সঙ্গে যাচ্ছিল একটি মৃতদেহ। সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেসে এক ব্য়ক্তির মৃত্যুর পরই ওই ঘটনা ঘটে যায়। সেই ব্যক্তির মৃতদেহের সঙ্গেই বাকি সকলকে সফর করতে হয়েছে। যাত্রীদের তরফে বহুবার রেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর চেষ্টা করা হয় যে, তাঁদের সঙ্গে রেল সফরে রয়েছে একটি মৃতদেহ। ট্রেন ঝাঁসি পর্যন্ত আসার পর ট্রেনের ভিতর থেকে ওই মৃতদেহটি সরানো হয়। সেখানে রেলের জিআরপি ওই মৃতদেহকে তুলে নিয়ে যায়। সেখানেই হয় মৃতদেহের পোস্ট মর্টেম। যে ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে, তিনি ৩৬ বছর বয়সী। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বান্দা জেলার বাসিন্দা তিনি। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। আর তিনি নিজের আত্মীয়ের সঙ্গে চেন্নাই থেকে ফিরছিলেন। জানা গিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি চেন্নাইতে কর্মরত ছিলেন। তারপরই রবিবার ওই ঘটনা ঘটে।

তথ্য বলছে, ট্রেনের মধ্যেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। তখনই রবিবার তিনি ট্রেনেই মারা যান। এদিকে, সহযাত্রীর মৃত্যুর পর ওই ব্যক্তির দেহ ট্রেন থেকে নামিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে বাকিরা রেলের দ্বারস্থ হলেও, অভিযোগ যথাযথ সাড়া মেলেনি। তাই ৬০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সেই যাত্রীর মরদেহ সঙ্গে নিয়েই বাকিদের সফর করতে হয়। ঘটনায় স্বভাবতই যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। শেষে ঝাঁসিতে ট্রেন থামতেই সেখানে ওই ব্যক্তির দেহ বের করা হয় ট্রেন থেকে।

(Feed Source: hindustantimes.com)