জি ২৪ ঘণ্টার ডিজিটাল ব্যুরো: খসড়া রিপোর্টই চূড়ান্ত! ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশে সিলমোহর দিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূল সাংসদের ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে। সূত্রের খবর তেমনই।
‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে বিপাকে মহুয়া। ৫০০ পাতার খসড়া রিপোর্টে তাঁর সাংসদ খারিজের সুপারিশ করেছিল এথিক্স কমিটি। রিপোর্টে উল্লেখ, ‘লোকসভার পোর্টালের লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগইন করা হয়। স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা’। কবে? গতকাল, মঙ্গলবার।
এদিন ফের বৈঠকে বসে এথিক্স কমিটি। বৈঠকে খসড়া রিপোর্ট নিয়ে ভোটাভুটি হয়। চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকার জানান, মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৬ সাংসদ, আর বিপক্ষে ৪ জন। সংখ্য়াগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে খসড়া রিপোর্ট গৃহীত হয়েছে।
২০১৯-র লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে জোড়া ফুল প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এথিক্স কমিটি আনএথিকাল কাজ করছে। যেখানে একের পর এক বিজেপি-র সাংসদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, তখন এথিক্স কমিটি নাড়াচাড়া দেখা যায় না। বিজেপি ভোটে হারাতে পারে না, বিজেপিকে পিছনের দরজা দিয়ে এই ধরণের কাণ্ডকারখানা করতে হয়’।
কুণালের অভিযোগ, ‘এথিক্স কমিটির মহুয়ার ব্যাখার শোনার ধৈয্য, সাহস বা ভদ্রতা সৌজন্য কোনওটাই দেখাইনি। একজন মহিলা সাংসদকে যে ধরনের প্রশ্ন করে উত্যক্ত করা হয়েছে, এটা পূর্ব নির্ধারিত চিত্রনাট্য। বিজেপির পার্ট অফিস থেকে লিখে আসা চিত্রনাট্য’।
কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতে, ”সবটাই ঘটেছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে। তথ্য ও যুক্তির ভিত্তিতে কতখানি হয়েছে, আমার জানা নেই। তবে আমি নিশ্চয়ই মহুয়া মৈত্রকে একটা কথা বলব। সেটা হচ্ছে এই, যদি আইন অনুমোদন করে, তাহলে ওর কোর্টে যাওয়ার প্রয়োজন আছে’।
মহুয়া মৈত্রকে গ্রেফতারের দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘দেশবিরোধী কাজ করেছে। এই সাংসদের সদস্যপদ যাওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গে জনগণ চায়, এইরকম প্রতারক সাংসদ, তিনি যাতে জেলের ভিতরে যান। শুধু সদস্য়পদ গেলেই হবে না। সংসদের মেয়াদ আর মাত্র পাঁচ-ছয় মাস রয়েছে। আমরা চাই, এই ধরনের প্রতারক সাংসদ জেলের মধ্যে যাক’।
(Feed Source: zeenews.com)