কালো পোশাকে স্পষ্ট অনুষ্কার বেবিবাম্প, হাত ধরে বিরাট! বিশ্বকাপের মাঝে নতুন ভিডিও

কালো পোশাকে স্পষ্ট অনুষ্কার বেবিবাম্প, হাত ধরে বিরাট! বিশ্বকাপের মাঝে নতুন ভিডিও

গত কয়েকদিন ধরেই অনুষ্কা শর্মার দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যদিও তাতে তিনি বা বিরাট কেউই কোনও সম্মতি দেননি। বৃহস্পতিবার অভিনেত্রীর আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যাতে স্পষ্ট দেখা গেল অনুষ্কার বেবিবাম্প।

পিঙ্কভিলার রিপোর্ট অনুসারে এই ভিডিয়ো বেঙ্গালুরুর। কালো রঙের একটি শর্ট ড্রেস পরে আছেন অনুষ্কা, যার হাতা বেলুন স্লিভস। আর এই পোশাক থেকেই ফুটে উঠেছে বেবি বাম্প। যা লোকানোর কোনও চেষ্টাই করেননি বিরাট-পত্নী।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, খুব যত্ন করে বিরাট ধরে রেখেছেন বউয়ের হাত। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক পরে আছেন ওভারসাইজড গ্রে রঙের ট্রাউজার, আর লাইট গ্রে টি-শার্ট। পায়ে স্নিকার্স, মাথায় কালো চুপি।

হিন্দুস্তান টাইমসের একটি রিপোর্ট অনুসারে তাঁদের সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক মেটারনিটি ক্লিনিকের বাইরেও দেখা গিয়েছিল। সেখানে থাকা পাপারাজ্জিতের ছবি না নিতে অনুরোধ করেন তাঁরা। সঙ্গে জানান, খুব জলদিই করবেন অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট।

প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে, ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই লাইমলাইট থেকে দূরে রেখেছেন অনুষ্টা-বিরাট। ২০১৭ সালে ইতালিতে একটি অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন। করোনা লকডাউনের সময় ২০২০ সালে প্রথম প্রেগন্যান্সির ঘোষণা করেছিলেন। তাঁদের মেয়ের নাম ভামিকা, জন্ম হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে। বিরাট-কন্যার ছবি তুলতে ও প্রকাশ করতেও সংবাদমাধ্যমকে নিষেধ করেছে এই জুটি।

কাজের সূত্রে, অনুষ্কা শর্মা অনেকদিন থেকে দূরে আছেন শো বিজ থেকে। সেই ২০১৮ সালে তাঁর সিনেমা জিরো মুক্তি পেয়েছিল। আপাতত মুক্তির অপেক্ষায় ‘চাকদা এক্সপ্রেস’। যদিও এই সিনেমাটিও মুক্তি পাচ্ছে না প্রেক্ষাগৃহে। বরং, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আসবে অনুষ্কা শর্মার এই স্পোর্টস বায়োপিক।

চাকদা এক্সপ্রেসের শ্যুটিংয়ের সময়ও মেয়েকে এক মুহূর্ত কাছছাড়া করেননি অনুষ্কা। এমনকী, কলকাতা শিডিউলের শেষে ভামিকাকে কোলে নিয়ে মাস্কে মুখ ঢেকে কলকাতা দর্শনের ফোটো-ভিডিয়োও শেয়ার করে নিয়েছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘পুরো বছরটা চাকদা এক্সপ্রেস ছবির শুটিংয়ে কেটেছে। শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর হাতে খুব সামান্যই সময় থাকত। আর তখন মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতাম, ওকে রাতের খাবার খাওয়াতাম ওর রাতের সব রুটিন অনুসরণ করার পরেই সময় পেতাম ঘুমোতে যাওয়ার। আমি মনে করি না, অন্য কিছু করার সময় আমার ছিল। আমি আরও কাজ করতে রাজি শুধু যদি সেগুলো আমার সময় দেওয়ার যোগ্য হয়। শুধুমাত্র নম্বর গেমের খেলায় থাকার জন্য আমি সিনেমা করতে চাই না। অবশ্যই সিনেমাটিকে চাকদা এক্সপ্রেসের মতো কিছু হতে হবে।’

(Feed Source: hindustantimes.com)