পাসআউট পড়ুয়াদের সার্টিফিকেট কি আদৌ বৈধ? সংশয়ে প্রাক্তন উপাচার্যরা

পাসআউট পড়ুয়াদের সার্টিফিকেট কি আদৌ বৈধ? সংশয়ে প্রাক্তন উপাচার্যরা

সদ্য অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া ডিগ্রি সার্টিফিকেট। তবে এই সার্টিফিকেটের বৈধতা নিয়েই এবার আশঙ্কা। আশঙ্কা প্রকাশ করল রাজ্যের ‘দ্য এডুকেশনিস্টস ফোরাম’। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক ও কয়েকজন শিক্ষা আধিকারিককে নিয়ে তৈরি এই ফোরাম।

ফোরামের তরফে শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে এই আশঙ্কার কথা বলা  হয়। তাঁরা ২০১৯ সালের বিধির ৩(৫) ধারার কথা জানান। ওই বিধি অনুযায়ী, উপাচার্যর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কাজ করতে পারেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট/কোর্ট/ গভর্নিং বডি অথবা সিন্ডিকেট/ কর্মসমিতির বৈঠক করতে পারবেন না। এর জন্য আগে রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগবে। পাশাপাশি সমাবর্তন সংক্রান্ত যাবতীয় বিজ্ঞপ্তি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নজরে আনতে হবে। তা না হলে সমাবর্তন অবৈধ। সম্প্রতি রাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়েছে। ওই বিধির ভিত্তিতেই সমাবর্তনের বৈধতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন।

প্রাক্তন উপচার্যের কথায়, সমাবর্তনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। ফলে ডিগ্রির বৈধতা নিয়েও ভবিষ্যতে জটিলতা হতে পারে। এই নিয়েই বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।প্রথম এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, যে সব ছাত্রছাত্রী সমাবর্তন থেকে ডিগ্রি পাচ্ছেন, তাঁরাও জানেন না সে ডিগ্রি আদৌ বৈধ কি না। রাজ্য সরকারের আইনে পরিষ্কার বলা আছে, অস্থায়ী উপাচার্যকে কোর্ট বা কর্মসমিতির বৈঠক করতে হলে আলাদা করে রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগবে। নয়তো তা অবৈধ।এই সংক্রান্ত কোনও অনুমতি কি রাজ্য সরকার দিয়েছে? ফোরাম তা জানে না।

পাশাপাশি সমাবর্তনও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। সমাবর্তন থেকে প্রতি বছর অন্তিম বর্ষের পড়ুয়ারা সার্টিফিকেট পান। তবে এই নিয়েই এখন ধন্দ জারি। কারণ সমাবর্তন অনুষ্ঠানেরও বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছেন। অস্থায়ী উপাচার্য সমাবর্তন অনুষ্ঠান করতে পারেন। কিন্তু সেই সংক্রান্ত তথ্য দিতে হবে উচ্চশিক্ষা দফতর। তা না হলে গোটা সমাবর্তন অনুষ্ঠান অবৈধ। আর স্বাভাবিক নিয়মে সার্টিফিকেটও অবৈধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নিয়ে এই দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন এডুকেশন ফোরাম।

(Feed Source: hindustantimes.com)