সুপ্রিম-নির্দেশিকা অমান্য করেই আতসবাজি, দীপাবলির পর ‘মারাত্মক’ ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়ল দিল্লি

সুপ্রিম-নির্দেশিকা অমান্য করেই আতসবাজি, দীপাবলির পর ‘মারাত্মক’ ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়ল দিল্লি
নয়াদিল্লি : আশঙ্কা ছিলই। সেই মতোই এদিন বাতাসের গুণগত মান পড়ল ‘মারাত্মক’ স্তরে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার পরেও অনেকেই নির্বিচারে আতসবাজি পোড়ানোর আনন্দে মশুগুল হয়েছেন। যার ফলও ভুগতে হচ্ছে হাতেনাতে। এদিন কার্যত ধোঁয়াশায় ঢাকা সকাল দেখল রাজধানী। দিল্লির অধিকাংশ এলাকাই ঢাকা পড়ল বিষাক্ত ধোঁয়াশায়। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড অনুযায়ী, AQI সূচকে যা ‘মারাত্মক’।

সোমবার রাজধানীর সার্বিক AQI ছিল ‘খুব খারাপ’ ক্যাটেগরিতে । দিল্লির পার্শ্ববর্তী শহর নয়ড়া, গুরুগ্রামের পরিস্থিতিও কম-বেশি একই রকম ছিল। এই দুই জায়গায় AQI সূচকে দূষণের মাত্রা ছিল যথাক্রমে- ৩৬৩ ও ৩৪৯।

এদিকে শীর্ষ আদালতের নির্দেশিকার পরেও নির্বিচারে আতসবাজির ঘটনায় সোমবার দিল্লি পুলিশ ৯৭টি মামলা রুজু করেছে। এর মধ্যে পূর্ব দিল্লি ও শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকাতেই বেশি কেস দায়ের হয়েছে। তবে, রোহিণী বা উত্তরের বাইরের দিকে কোনও কেস রুজু হয়নি। ক্রমাগত দূষণ বৃদ্ধি ঠেকাতে নয়া দিল্লি পৌর পরিষদের তরফে বিভিন্ন এলাকায় পার্কিং ফি দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যে নির্দেশিকা বহাল থাকবে।

দীপাবলির পর দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায়, রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে আম আদমি পার্টি ও বিজেপির মধ্যে। এনিয়ে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী ও আপ নেতা গোপাল রাই বিজেপিকে দোষারোপ করেছেন। আতসবাজির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে নিজেদের দায়িত্ব পূরণে বিজেপির অনিচ্ছার জন্য এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যের। বিজেপি চেয়েছিল, আতসবাজি করা হোক এবং তিন রাজ্যে (দিল্লি, হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশ) পুলিশ বিজেপিকে সঙ্গ দিয়েছে।’ পাল্টা জবাব দিয়েছেন দিল্লি বিজেপির সহ সভাপতি কপিল মিশ্র।

দিনকয়েক আগে রাতের বৃষ্টিতে সাময়িক স্বস্তি মেলে দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী  এলাকার মানুষের। বৃষ্টিতে কেটে যায় বিষাক্ত ধোঁয়াশার আস্তরণ। ফলে, কিছুটা উন্নতি হয় বাতাসের গুণগত মানের।

দূষণের প্রকোপ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে শীতকালীন ছুটির আগেই ৯ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লির স্কুলগুলিতে। দিল্লির বাতাসের গুণমানের আরও অবনতি ঘটায় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এর জন্য  মূলত হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে ফসলের গোড়া পোড়ানোকে দায়ী করা হচ্ছিল। সেই নিয়ে আগেই কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র এবং রাজ্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি, সকলকে একজোট হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেয়। শীর্ষ আদালত জানায়, দূষণ নিয়ে রাজনীতির সময় নয় এটা। একজোটে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। ফসলের গোড়া পোড়ানো বন্ধ করতেও পদক্ষেপ করতে বলে শীর্ষ আদালত।

(Feed Source: abplive.com)