ছট পূজা: অন্যান্য উৎসবের তুলনায় ছটের খুবই কঠোর নিয়ম রয়েছে, শুদ্ধ ও পুণ্যবান হতে অনেক কিছু করতে হয়।

ছট পূজা: অন্যান্য উৎসবের তুলনায় ছটের খুবই কঠোর নিয়ম রয়েছে, শুদ্ধ ও পুণ্যবান হতে অনেক কিছু করতে হয়।

ছোলা ডাল বা আরওয়া চালে কোনো পোকা থাকা উচিত নয়। কুমড়া যাতে পচে না যায় তা নিশ্চিত করাও জরুরি।
– ছবি: আমার উজালা

লোকবিশ্বাসের মহা উৎসবে ছট গান পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ছটের সময় বিহারে আসার লড়াই দেখে মানুষ এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। কার্তিক মাসের শুরু থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু বলে মনে করা হলেও মাটিতে নাহয় খায়ের আগে কোনো প্রক্রিয়া শুরু হয় না। এর কারণ হলো, মানুষ বেশিদিন শুদ্ধ ও পুণ্যবান থাকতে পারেনি। শুদ্ধতা ও সাত্ত্বিকতার নিয়ম এতই কঠোর যে সাধারণত ছট শুরু করার আগে এক বা দুই বছর কষ্ট সহ্য করা হয় (ছটকে উপবাস হিসেবে শুরু করা)। একভাবে, এটি একটি কঠোরতা পরীক্ষা করার একটি ব্যবস্থা যার সাথে একজনকে ব্রত হওয়ার পরে নিয়ম মেনে চলতে হয়।

স্নানের আগে কোনো কিছুকেই শুদ্ধ মনে করা যায় না।

কার্তিক মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই অনেক আমিষভোজী বাড়িতে রসুন এবং পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, যদিও বিহারের বেশিরভাগ বাড়িতেই ধনতেরাস থেকে এই সব নিষিদ্ধ। বেশিরভাগ লোক ধনতেরাস বা দীপাবলি থেকে শিলা লবণ খাওয়া শুরু করে, তবে, কার্তিক শুরু হওয়ার সাথে সাথেই অনেকে স্বাভাবিক লবণ ছেড়ে দেয়। এত কিছু করার পরও ছটের জন্য প্রয়োজনীয় পবিত্রতার মান পূরণ হয় না। পণ্ডিত অরুণ কুমার মিশ্র, একজন জ্যোতিষী, তান্ত্রিক এবং আচারবিদ, যিনি তার বাড়িতে ছট উত্সব উদযাপনের পরিকল্পনা করছেন, তিনি বলেছেন – “যদি আমরা সূর্য দেবতাকে খুশি করার জন্য ছট উপবাস করতে যাই এবং এর সাথে আমরা ছটি পূজা করতে যাচ্ছি। মাইয়া।,তারপর প্রথমে আমাদের সাত্ত্বিক হতে হবে।আমাদের নিজেদেরকে শুদ্ধ করতে হবে।তাই ছট রোজা শুরু হয় নাহয় খায় দিয়ে।আমাদের মন,কর্ম ও বাচনভঙ্গীতে শুদ্ধ হতে হবে।এখানে ‘নাহয়’ মানে শরীর ও মনের শুদ্ধি। আর এর পরে ‘খায়’ মানে সাত্ত্বিক খাবার খাওয়া।”

স্নানের পর এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি

পণ্ডিত শশীকান্ত মিশ্র বলেন – “নাহয় খা মানে তামসিক প্রবণতা পরিষ্কার করা। শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। ছোট এবং সহজে হজমযোগ্য খাবার খেতে হয় যাতে শরীরের ভেতরের অংশও পরিষ্কার হয়। এই কারণেই নহে খায়। আরওয়া চালে কুমড়ো যোগ করে তৈরি খয়ের ডালকদ্দু, ছোলা ডাল, কুমড়ার সবজি বা ছোলা ডাল নিজেই খাওয়া হয়।এটি পূজার জন্য আলাদা করে রাখা পাত্রে তৈরি করতে হবে এবং যতদূর সম্ভব মাটির চুলায় কাঠের আগুনে রান্না করতে হবে। হওয়া উচিত। বিশুদ্ধতা সহ প্রস্তুত করা শাকসবজিও অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। এই খাবারটি শুধুমাত্র খাঁটি ঘি দিয়ে তৈরি করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”

(Feed Source: amarujala.com)