১৫০ সিনেমা ডাউনলোড হবে এক সেকেন্ডে, বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট নেটওয়র্ক গড়ে তুলছে চিন

১৫০ সিনেমা ডাউনলোড হবে এক সেকেন্ডে, বিশ্বের দ্রুততম ইন্টারনেট নেটওয়র্ক গড়ে তুলছে চিন
বেজিং: ইন্টারনেট ব্যবহারের দুনিয়ায় বিপ্লব আনতে প্রস্তুত চিন। 3G, 4G বা 5G নয়, তার চেয়েও দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট নেটওয়র্ক গড়ে তোলার দিকে এগোচ্ছে তারা। অতি সম্প্রতিই তার একঝলক দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছে চিন। তাদের দাবি, প্রতি সেকেন্ডে ১.৩ টেরাবাইট ডেটা ট্রান্সমিট করতে সফল হয়েছে তারা। বর্তমানে গোটা বিশ্বে যত ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা রয়েছে, তাদের সকলকে তারা ছাপিয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। (Fastest Internet Network)

এ নিয়ে  দেশের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে বিশদ রিপোর্ট বেরিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, চিংউয়া ইউনিভার্সিটি, চায়না মোবাইল, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এবং সার্নেট কর্পোরেশনের সম্মিলিত উদ্যোগে এমনটা সম্ভব হয়েছে। মোট ৩ হাজার কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে এই নয়া ইন্টারনেট নেটওয়র্কের বিস্তার ঘটানো হয়েছে। এর আওতায় অপটিক্যাল কেবলিং সিস্টেমের মাধ্যমে বেজিং, উহান, গুয়াংঝৌয়ের মতো শহরকে সংযুক্ত করা হয়েছে, যা প্রতি সেকেন্ডে ১.২ টেরাবাইট ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে। (World’s Fastest Internet Network)

এই মুহূর্তে বিশ্বে যত ইন্টারনেট নেটওয়র্ক রয়েছে, তারা প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ১০০ গিগাবাইট ডেটা ট্রান্সমিট করতে পারে। সম্প্রতি আমেরিকায় ফিফথ জেনারেশন ইন্টারনেট২-র সূচনা হয়, কিন্তু তাতেও প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৪০০ গিগাবাইট ডেটা ট্রান্সমিট করা সম্ভব হয়েছিল। তাই ইন্টারনেট নেটওয়র্কের দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে চিন।

চিনে প্রযুক্তিগত পরিকাঠামোকে আরও উন্নত এবং ভবিষ্যৎমুখী করে তোলার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে, তাতে বেজিং-উহান-গুয়াংঝৌয়ের সংযুক্তিকরণ সেই পরিকল্পনারই অংশ। বিগত এক দশক ধরে এই প্রচেষ্টা চলছিল।  জুলাই মাসেই এই নয়া ইন্টারনেট নেটওয়র্কটিকে সক্রিয় করে তোলা হয়।  গত সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হল। এখনও পর্যন্ত সব পরীক্ষায় উতরে গিয়েছে এই নয়া ইন্টারনেট নেটওয়র্ক। সেটি যথেষ্ট ভরসাযোগ্যও।

এই ইন্টারনেট সংংযোগ কত দ্রুত গতিশীল, তা সহজ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং লেই। তিনি জানিয়েছেন, এই ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে এক সেকেন্ডে ১৫০টি হাই-ডেফিনিশন সিনেমা ডাউনলোড করা সম্ভব। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উ চিয়াংপিং জানিয়েছেন,উন্নততর প্রযুক্তির দৌলতেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন তাঁরা। ভবিষ্যতে আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ গড়ে তোলার দিকে এগোবেন তাঁরা। এই প্রকল্পে ব্যবহৃত সমস্ত সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার দেশীয় সংস্থার হাতেই তৈরি করিয়েছে চিন।

(Feed Source: abplive.com)