গুরুগ্রাম: কুয়োতে ​​পুজো দিতে আসা দলিত মহিলাদের উপর পাথর ছোড়া, এলাকায় উত্তেজনা পরে তদন্তে ব্যস্ত পুলিশ।

গুরুগ্রাম: কুয়োতে ​​পুজো দিতে আসা দলিত মহিলাদের উপর পাথর ছোড়া, এলাকায় উত্তেজনা পরে তদন্তে ব্যস্ত পুলিশ।

হরিয়ানা পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশ
– ছবি: ফাইল ছবি

নুহতে, সন্ধ্যায় কূপের পুজো করার পরে দলিত মহিলাদের দিকে কিছু দুষ্টু দল পাথর ছুঁড়ে মারার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এতে অনেক নারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে হওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি শান্ত করার চেষ্টা করে।

এ ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করে নিহতের পরিবার ও শহরের কিছু মানুষ। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে সড়ক অবরোধ করেন কয়েকজন। এসময় বাদে মাদ্রাসার মুফতি জাহিদও ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি বাড়তে দেখে পুলিশ ক্যাপ্টেন নরেন্দ্র বিজার্নিয়া নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পুলিশ সেখানে জড়ো হওয়া ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ ক্যাপ্টেন স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এ ঘটনায় যারাই দোষী তাদের কোনো মূল্যে ছাড় দেওয়া হবে না। এ খবর লেখা পর্যন্ত থানায় কারও বিরুদ্ধে মামলা না হলেও পুলিশের তৎপরতা চলছিল।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দয়ারামের ছেলে দীপু একটি পুত্রসন্তান লাভ করেন। হিন্দু রীতি অনুযায়ী বাড়ির ও আশেপাশের কিছু মহিলা কৈলাস মন্দিরে কূপ পূজা করতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় কেউ একজন তাদের দিকে দু-একটি পাথর ছুড়ে মারে। তা উপেক্ষা করে মহিলারা কুয়োতে ​​পুজো দিতে যান। আসার সময় নগরীর বড় মাদ্রাসা থেকে কিছু দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে অনেক নারী আহত হয়েছেন।

বিষয়টি দুটি সম্প্রদায় জড়িত থাকায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে তথ্যটি। কিছুক্ষণ পর বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হয়। কিছু লোক ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ক্যাপ্টেনও তাৎক্ষণিক দায়িত্ব নেন। সেখানে জড়ো হওয়া জনতাকে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ছত্রভঙ্গ করেন। পুলিশ ক্যাপ্টেন নরেন্দ্র বিজার্নিয়া বলেছেন যে ভবিষ্যতে যাতে কেউ এখানকার শান্তি নষ্ট করার সাহস না পায় সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(Feed Source: amarujala.com)