অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায় ও দেবাঞ্জন বন্দ্য়োপাধ্যায়: টিম ইন্ডিয়া বিস্ফোরক ফর্মে থাকলেও রবিবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া যে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবে না তা একরকম স্পষ্ট। ফাইনালে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মহারণে প্যাট কামিন্স ও রোহিত শর্মা ব্রিগেডের। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রোহিতদের পক্ষে সওয়াল করলেও ফুটছে অস্ট্রেলিয়াও। সূত্রের খবর রবিবার স্টেডিয়ামে থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
বিশ্বকাপ ফাইনাল ঘিরে তুঙ্গে প্রস্তুতি। বিশ্বকাপজয়ী অধিনাকদের সম্মান জানাবে বিসিসিআই, লেজার শো হবে, গান গাইবেন প্রীতম। স্টেডিয়ামে এয়ার শো করবে বায়ুসেনা। দেশজুড়ে চলেছে বিভিন্ন আয়োজন। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক জানিয়েছেন টিম ইন্ডিয়া একেবারেই চাপমুক্ত রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিত বলেন, গত দশ ম্যাচে আলাদা রণনীতি নিয়ে খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। সেই ফর্মুলাতেই ফাইনাল হবে। অস্ট্রলিয়া টিমকে আলাদা করে গুরুত্ব দেওয়ার কারণ নেই।
এদিকে, ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারত। সেই কথা মাথায় থাকবে টিম ইন্ডিয়ার। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে টিমে থাকতে পারেননি রোহিত। আর ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন তিনি। ফলে কিছুটা হলেও আবেগপ্রবণ রোহিত শর্মা।
ফাইনালে দলবদলের সম্ভাবনা বেশ কম। পিচ নিয়ে খুব একটা অসন্তুষ্ট নন রোহিত। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স অবশ্য সমীহ করছেন ভারতের পেস ব্যাটারি ও জাদেজাকে। তবে কামিন্স জানিয়েছেন রোহিত শর্মা বা বিরাট কোহলির জন্য আলাদা করে কোনও রণনীতি তাদের নেই।
বিশ্বকাপের ফাইনালকে ঘিরে কলকাতা থেকে আহমেদাবাদে দেখা মিলছে আবেগের বিস্ফোরণ। খোদ রোহিত শর্মা বলেছেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এটি। ফলে তাঁদের উপরে একটা চাপ থাকছে।
ফাইনাল নিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেন, আমাদের আশার চাপ আশাকরি টিম ইন্ডিয়া সামলে নেবে। তবে আমরা ওদের যত হালকাভাবে খেলতে দেব ততই ওরা ভালো খেলবে। অস্ট্রেলিয়ার থেকে টিম ইন্ডিয়ার উপরেই বেশি চাপ থাকবে। অনেক খেলোয়াড়ের হয়তো ঘুমও হবে না।
২০০৩ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে গড়া টিম বিশ্বকাপের ফাইনালে গিয়েছিল। আটটা ম্য়াচ জিতে ভারত যখন ফাইনালে গেল তখন ভারতবাসী আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু সেবার পারেনি ভারত। সেই ভরাডুবির বিশ সাল বাদ ফের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সেবার ৮ ম্যাচ জিতে ফাইনালে গিয়েছিল ভারত। আর এবার ১০ ম্যাচ জিতে আহমেদাবাদে ভারত। এবার কি বদলা! এটাই এখন ভাবাচ্ছে ভারতীয়দের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটা জিনিস কাজ করবে সেটা হল ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের চিত্কার। অর্থাত্ ওই শব্দব্রহ্ম এক্সট্রা একটি প্লেয়ারের মতো কাজ করবে অজিদের বিরুদ্ধে।
(Feed Source: zeenews.com)