অতীত ভুলে গোটা পরিবারকে এক করতে পারবে টুম্পা? বাড়িতে ফেরাতে পারবে পম্পাকে?

অতীত ভুলে গোটা পরিবারকে এক করতে পারবে টুম্পা? বাড়িতে ফেরাতে পারবে পম্পাকে?
কলকাতা: কালার্স বাংলার (Colors Bangla) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘টুম্পা অটোওয়ালি’ (Tumpa Autowali)। টুম্পার জীবনে একের পর এক ঝড় পেরিয়ে এখন কোথায় দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকের গল্প? কী হতে চলেছে ধারাবাহিকে এরপর? (Daily Serial Update)

‘টুম্পা অটোওয়ালি’ ধারাবাহিকে নয়া মোড়

ধারাবাহিকের বড়সড় কাণ্ড ঘটিয়েছে একলব্য। সে অস্মিতার সহকারী প্রীতিময়কে গ্রেফতার করে পম্পাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে। ধীরে ধীরে আবহাওয়া উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং টুম্পা ও আবির বেশি করে নজর রাখতে শুরু করে অস্মিতার ওপর। এই খুনের ঘটনায় সে কতটা জড়িত জানতে তাকে বারবার প্রশ্ন করতে থাকে তারা। তার ওপর যে বড়সড় সমস্যা ঘনিয়ে আসতে চলেছে তা বেশ বুঝতে পারে অস্মিতা। বিপদের আঁচ করে তড়িঘড়ি এই সমস্যা থেকে পালাবার পথ খুঁজতে থাকে সে।

অন্যদিকে, এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। টুম্পা সিদ্ধান্ত নেয় পম্পা, যে জীবনের নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে, তার সঙ্গে এর আগে যা হয়ে গেছে তা ভুলে গিয়ে দুই আলাদা হয়ে যাওয়া বোনদের পুনর্মিলন হোক, এবং এটি একটি মর্মান্তিক মুহূর্ত হয়ে ওঠে।

যদিও সোনালি ও মধুরার মধ্যে এক বিভেদ দেখা যায়। তারা এখন দোটানায় পড়ে যায় যে পুনরায় নিজেদের পরিবারে পম্পাকে স্বাগত জানানো ঠিক হবে কি না। আর এসবের মাঝে পড়ে যায় টুম্পা, এই সমস্যা সমাধান করার কর্তব্যও তার ঘাড়েই এসে পড়ে। পম্পাকে সঠিক পথে চালনা করাও তারই দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। টুম্পা কি শেষ পর্যন্ত পারবে নিজের পরিবারকে পুনরায় এক করতে এবং পম্পাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে?

এক ঝলকে ‘টুম্পা অটোওয়ালি’র গল্প

বর্তমান দিনের কলকাতার প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ধারাবাহিকের গল্প। ধারাবাহিকের মহিলা অটোচালকের ভূমিকায় টুম্পা। অটোচালক থেকে সুনিপুণ গৃহকর্ত্রী থেকে সফল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে টুম্পার যে সফর, সেই গল্পই বলে এই ধারাবাহিক।

ডোনা ভৌমিক অভিনীত টুম্পার জীবনের ঝলক মেলে এই ধারাবাহিকে। যে জীবিকা নির্বাহের জন্য অটো চালায় কিন্তু সেই সঙ্গে নিজের পড়াশোনার প্রতিও একইভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পড়াশোনাও সমানতালে চালিয়ে যায় সে। তার অটোকে মানুষ হিসেবেই দেখে টুম্পা, যার নাম রেখেছে ‘জান’। অন্যদিকে গল্পের অপর মুখ্য চরিত্র আবীর। অভিনয়ে সায়ন বসু। সে এক সফল অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার মালিক। তবে স্বভাবের দিক থেকে বেশ অহঙ্কারী সে।

তাঁদের স্বভাব চরিত্র একেবারে ভিন্ন মেরুর হওয়া সত্ত্বেও ভাগ্যের ফেরে টুম্পা ও আবীরের বিয়ে হয় একে অপরের সঙ্গে। নিজেদের শ্রেণি বিভাজন ভুলে একসঙ্গে থাকা এবং নতুন জীবনের পথে এগিয়ে চলাই এই ধারাবাহিকের গল্প। তাঁদের এই অসম জুটি বেশ পছন্দ করেন দর্শক।

(Feed Source: abplive.com)