স্বনামধন্য এই চিকিৎসক আজ বাণিজ্য সম্মলনের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন, “এই শহরে একটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির স্বপ্ন আছে আমার। যেখানে হার্টের উন্নত চিকিৎসা, ক্যান্সারের চিকিৎসা, অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যাবে। হাজারের বেশি শয্যা থাকবে। যেটা স্বাস্থ্যখাতে আগামীদিনে বেঞ্চ মার্ক হয়ে থাকবে। আমি আশাবাদী, আগামী ২ বছরের মধ্যেই তা সম্ভব হবে। আমরা এজন্য হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। যা থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে।”
তাঁর এই স্বপ্নের কথা জানানোর সময় ভুললেন না মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে। তার কারণও উল্লেখ করেন। দেবী শেট্টি বলেন, “গতবার যখন এখানে বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলাম, আপনাকে কথা দিয়েছিলাম, এরাজ্যের জন্য আমার শেষ টাকাটুকুও বাজি ধরতে পারে। যে রাজ্যের পাশে আমি সবসময় দাঁড়িয়েছি। সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার কাছে কৃতজ্ঞ।”
মঞ্চে বক্তব্য রাখার শুরুতেই কিছুটা নস্টালজিক হয়ে পড়লেন দেশের অন্যতম প্রথিতযশা এই চিকিৎসক। বললেন, “৩৩ বছর আগে কলকাতা এসেছিলাম, তরুণ হার্ট সার্জন হিসাবে। লক্ষ্য ছিল, গরিব মানুষকে যেভাবে হার্টের চিকিৎসা দেওয়া হয়, তা পাল্টানোর। এরাজ্যের মানুষ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে ধন্যবাদ। এ রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ, তাঁরা আমাকে প্রকৃত অর্থে বাস্তব জীবনের হিরো বানিয়েছেন। এ রাজ্য মানুষের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে আনতে জানে।”
প্রসঙ্গত, এই বেসরকারি সংস্থার ২১টি হাসপাতাল রয়েছে, ৬টি হার্ট সেন্টার এবং ১৯টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা । এই গ্রুপের রয়েছে ৫,৮৫৯ অপারেশনাল বেড।
এদিন শুরু হল বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য় সম্মেলন। মুকেশ অম্বানি হাজির থাকলেও, আমন্ত্রণ সত্ত্বেও উদ্বোধনের দিন এলেন না গৌতম আদানি। মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে পঁয়ত্রিশটি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন। উপস্থিত শিল্পপতিদের উদ্দেশে, তাজপুর বন্দরের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের আবেদন জানিয়ে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, ‘অনেকেই বাংলা সম্পর্কে গুজব ছড়ায়, কিন্তু বাংলায় কোনও বিভেদ নেই, বাংলা এখন ইকনমিক পাওয়ার হাউস।’
(Feed Source: abplive.com)