চরমপন্থীদের সমর্থন করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াকে জানিয়েই দিলেন জয়শঙ্কর

চরমপন্থীদের সমর্থন করে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াকে জানিয়েই দিলেন জয়শঙ্কর

কানাডায় খলিস্তানপন্থী নেতাকে খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কানাডা ও ভারতের মধ্য়ে সম্পর্কের ক্রমেই অবনতি হয়েছিল। তবে এখন সেই সম্পর্ক কেমন রয়েছে? এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী।

তারপর সাংবাদিক বৈঠকে কানাডার প্রসঙ্গ ওঠে। এনিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী মঙ্গলবার জানিয়েছেন, হ্যাঁ মন্ত্রী ওংয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের একটা ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেকারণে ওই ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়া জানুক আমাদের মনোভাবটা ঠিক কী? আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমরা বলতে পারি আসল ব্যাপারটা হল কানাডায় বিদ্রোহীদের ও চরমপন্থীদের স্পেস দেওয়া হয়েছে।

আসলে খলিস্তানপন্থী হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনার পর থেকেই নানা কথা উঠতে থাকে। কানাডার পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হয় যা দুপক্ষের সম্পর্কে আরও অবনতি করে। এরপর সেই জল ক্রমশ গড়াতে থাকে। এদিকে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে এমন পাঁচটি দেশ মিলে রয়েছে ফাইভ আইজ। তাদের অবস্থানকে ঘিরেও নানা চর্চা হয়েছে। সেই দেশগুলির মধ্য়ে রয়েছে, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেই কানাডার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন জয়শঙ্কর। এদিকে দুপক্ষের আলোচনায় প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা হয়েছে। এমনকী ইন্দো প্যাসিফিক রিজিয়নে চিনের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস আগেই জানিয়েছিলেন, ভারত আর অস্ট্রেলিয়া উভয়ের কাছেই চিন হল উদ্বেগের অন্য়তম উৎস।

এদিকে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে এই আলোচনা ছিল অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলিকে আরও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে কার্যকরী এই ব্যবস্থা।

(Feed Source: hindustantimes.com)