ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি, জেনে নিন কীভাবে জিম্মিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি, জেনে নিন কীভাবে জিম্মিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই
ছবি সূত্র: পিটিআই
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি

ইসরায়েল হামাস যুদ্ধ: ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধের ৪৭ দিন হয়ে গেছে। এরই মধ্যে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে। কিন্তু তা করা হয়েছে মাত্র ৪ দিনের জন্য। হামাস 7 অক্টোবর ইসরায়েলে একটি বড় আক্রমণ শুরু করে এবং হামাস কমান্ডোরা তাদের সাথে 240 জনকে জিম্মি করে। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ ইসরাইল। ইসরাইল ক্রমাগত বিমান হামলা ও স্থল হামলার মাধ্যমে গাজায় হামলা চালাচ্ছে। এদিকে কাতার ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে। এর আওতায় হামাস ও ইসরাইল জিম্মি ও বন্দীদের মুক্তি দেবে। কাতার ও আমেরিকার মতো দেশগুলো ক্রমাগত এই চুক্তির জন্য চাপ দিয়ে আসছিল কারণ তাদের নিজেদের লোকজনও হামাসের হাতে জিম্মি।

যাইহোক, ইসরাইল অতীতেও তাদের জিম্মিদের প্রতি যথেষ্ট উদার ছিল। তিনি যে কোনো মূল্যে তার লোকজনকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। হামাসের একটি খারাপ রেকর্ড রয়েছে।2006 সালে, গাজা জঙ্গিরা একজন ইসরায়েলি সৈন্য গিলাদ শেলিটকে ধরে নিয়ে তাকে পাঁচ বছরের জন্য কারারুদ্ধ করে। বিনিময়ে তার শর্ত ছিল ইসরায়েল যেন ১০২৭ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এসব বন্দি ছিল সন্ত্রাসী প্রকৃতির। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে ইসরায়েল হামাসের শর্ত মেনে নিয়ে জনগণকে মুক্তি দেয়। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বেরিয়ে এসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে।

এমনকি ইসরায়েলের মৃতদেহও নিজের কাছে রেখেছিল হামাস।

2014 সালে, তিনি ইসরায়েলি সৈন্যদের হত্যা করেছিলেন এবং তাদের লাশ নিজের কাছে রেখেছিলেন। পরিবার কাঁদতে থাকে। ইসরায়েল বেশ কয়েকবার তাকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানায়, কিন্তু হামাস তাকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে। হামাস যে ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। জিম্মিদের অর্ধেকেরও বেশি ইসরায়েল ছাড়া অন্য দেশের বা দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। তিন আমেরিকান ও আট ফরাসি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। হামাস দাবি করেছে, তারা জিম্মিদের টানেল ও নিরাপদ স্থানে রাখছে।

(Feed Source: indiatv.in)