সপ্তাহ তিনেকের ছুটি কাটিয়ে ইস্টবেঙ্গল এফসি ফের মাঠে নামতে তৈরি। এ বার তাদের সামনে প্রতিপক্ষ চেন্নাইয়িন এফসি। শনিবার ফের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অভিযান শুরু করতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। চলতি লিগে এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতে লাল-হলুদ শিবির এখন লিগ তালিকার দশ নম্বরে রয়েছে। শেষ ম্যাচে তারা ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে হেরেছিল। সেই ম্যাচে কেরালার জিতেছিল ২-১ গোলে। এক গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ৮৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন ক্লেটন সিলভা। যদিও তিনি স্টপেজ টাইমের একেবারে শেষ দিকে ফের পেনাল্টির সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি গোল শোধ করেছিলেন।
ইস্টবেঙ্গলের লড়াইয়ে ফেরা নিয়ে আশাবাদী লাল হলু কোচ। কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আগেও বলেছি, অজুহাত খোঁজা আমাদের কাজ নয়। ফল পাওয়ার জন্য কাজ করব। মরশুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপে আমরা ভালো খেলেছি। ড্র দিয়ে শুরু করে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ভালো জয় পেয়েছিলাম। তখন আমরা টানা চারটে ম্যাচে জিতেছিলাম। দলের মধ্যে সেই গতিশীলতা ছিল, কিন্তু একটা হারেই সেটা নষ্ট হয়ে যায়। এখন আমাদের সেই গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
চেন্নাইয়িনের উদাহরণ টেনে এনে কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, ‘চেন্নাইনের দিকে যদি দেখুন, ওরাও কিন্তু হার দিয়েই শুরু করেছিল। টানা কয়েকটা ম্যাচ হারার পর দলের গতিশীলতায় পরিবর্তন আনে এবং টানা দুটো ম্যাচ জিতে ছ’পয়েন্ট অর্জন করেছে। এ রকম সব দলের ক্ষেত্রেই ঘটে। দল যখন ছন্দে থাকে না, তখন পরপর দুবার পেনাল্টিও মিস হয়, যেমন আমাদের গত ম্যাচে হয়েছে। এই ভুলগুলো আমরা শোধরানোর চেষ্টা করছি। দলকে আমরা সকলেই ভালবাসি। এখন আমাদের কাজ ছন্দে ফেরা। মানসিক ভাবেও নিজেদের আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। তা হলে আবার পয়েন্ট আসবে।’
সমর্থকদের সাফল্যে ফেরার আশ্বাস দিয়ে কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আমার মনে হয়, যখন আমরা পয়েন্ট পেতে শুরু করব, তখন সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি চিন্তিতো নই, কারণ, অনুশীলনে দেখেছি আমরা কী করতে পারি, কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারি। আমি দলের ছেলেদের কাছে কী চাই, তা ওরা খুব ভালভাবেই বুঝতে পারছে। তাই আমার ধারণা, আমরা জয়ে ফিরব, হয়তো পরের ম্যাচেই অথবা তার পরের ম্যাচে। একবার সব ঠিক হতে শুরু করলে, তা হতেই থাকবে।’ এদিকে দলের কোচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্লেটন সিলভা বলেন, ‘কোচ কার্লস খুবই ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব। উনি সব সময়ই আমাদের পাশে থাকেন, আমাদের গাইড করেন। আমরা যদি নিজেদের শুধরে নিতে পারি, তা হলে ঘুরে দাঁড়াতেও পারব।’
(Feed Source: hindustantimes.com)