শেষ পাথরটা যেই সরালাম দেখলাম…আবেগে কাঁদছেন উদ্ধারকারী মুন্না, উত্তরকাশীর Hero

শেষ পাথরটা যেই সরালাম দেখলাম…আবেগে কাঁদছেন উদ্ধারকারী মুন্না, উত্তরকাশীর Hero

Rat Hole Mining। ইঁদুরের মতো গর্ত করে টানেলের ভেতর প্রবেশ করেছিলেন উদ্ধারকারীরা। একেবারে প্রথাগথ শাবল গাঁইতি দিয়ে ছোট গর্ত করতে হয় এক্ষেত্রে। একটা সময় খনিতে এভাবে প্রবেশ করা হত। সেই প্রক্রিয়াটাই প্রয়োগ করা হয়েছিল এখানে। আর তাতেই সফলতা আসে। কিন্তু যে Rat Miner-রা প্রথমবার ওই অন্ধকূপে প্রবেশ করেন তিনি ঠিক কী বললেন? ‘

বিদেশি প্রযুক্তি ফেল। কাজে লাগল প্রাচীন পদ্ধতি।

দিল্লির এক Rat Miner মুন্না কুরেশি। তিনি প্রথমবার ওই স্তুপের মধ্য়ে খুঁড়ে ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি জানিয়েছেন, আমি শেষ পাথরটা সরিয়েছিলাম। আমি ওদের দেখতে পাচ্ছিলাম। এরপর আমি অন্যদিকে যাই। ওরা আমাদের জড়িয়ে ধরল। ওরা আমাদের ধন্য়বাদ জানাচ্ছিল ওদের উদ্ধার করার জন্য। গত ২৪ ঘণ্টায় টানা কাজ করে গিয়েছি। আমি অত্যন্ত খুশি। আমি আমার দেশের জন্য় কাজ করেছি। ওরা( আটকে পড়া শ্রমিকরা) যে শ্রদ্ধা আমাদের জানিয়েছেন সেটা সারা জীবনে কোনওদিন ভুলব না।

১৭ দিন ধরে ওই জায়গায় আটকে ছিলেন ৪১জন শ্রমিক। তাদেরকেই একে একে বাইরে বের করে আনা হল। তাদের চোখে মুখে খুশি। সুস্থ আছেন সকলেই। আর যারা উদ্ধার করলেন তাদের চোখেও যুদ্ধ জয়ের হাসি। আনন্দে ফেটে পড়ছেন তারা। তাঁরাই তো আসল হিরো। মাথায়, সারা শরীরে ধুলো। ২৪ ঘণ্টা ধরে টানা কাজ করেছেন।ঠান্ডায় বিবর্ণ মুখ। সেই মানুষগুলোর একটাই তৃপ্তি, উদ্ধার করে আনতে পেরেছেন তাদের।

অপর এক উদ্ধারকারী দিল্লির ফিরোজ কুরেশি জানিয়েছেন, আমি জড়িয়ে ধরেছিলাম ওদের। শুধু কাঁদছিলাম। আবেগে ভাসছিলেন তিনি। তিনি হাতে করে ধ্বংস্তুপ সরিয়েছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে। তাঁর চোখের জল বাঁধ মানছিল না কিছুতেই। উত্তরাখণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

কিন্তু ঠিক কীভাবে কাজ করেন ওই মাইনার্সরা?

আসলে খনির কাজে অভ্যস্ত তাঁরা। দক্ষ শ্রমিকরা ছোট্ট গর্ত করা শুরু করেন। মোটামুটি একজন করে যাতে ঢুকতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়। মেঘালয়তে এই ধরনের ব্যবস্থা চালু ছিল। সাধারণত কয়লাখনিতে এই ধরনের ব্যবস্থা আগে চালু ছিল। তবে ঝুঁকির আশঙ্কায় তা পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই পদ্ধতিই কাজে দিল উত্তরকাশীতে।

(Feed Source: hindustantimes.com)