টিকা গবেষণায় নয়া ধাপ পেরোল ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ভারত বায়োটেক। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল এই সংস্থা। ইউনিভার্সিটি অব সিডনি ইনফেকশাস ডিজিজ ইন্সটিটিউট টু অ্যাডভান্স ভ্য়াকসিনের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ভারত বায়োটেক। সংক্রমক রোগের মোকাবিলার জন্যই এই চুক্তি। সংক্রমক রোগের টিকা নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা করবে এই দুই প্রতিষ্ঠান।
কোভিডের পর থেকেই সংক্রমক রোগ নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক হয়েছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন শিক্ষামূলক ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠানে বেড়েছে গবেষণার প্রবণতা। একই সঙ্গে টিকা নিয়ে আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে গোটা পৃথিবী। এবার সেই গবেষণাকেই আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থাটি। প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি ভিন্নরকম লক্ষ্য রয়েছে ভারত বায়োটেকের। সংস্থার দাবি, গবেষণার মারফত নতুন ধরনের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালাবে দুই প্রতিষ্ঠান।
এই নিয়ে একটি বিস্তারিত বিবৃতিও জারি করেছে ভারত বায়োটেক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টিকা বানানোর পাশাপাশি টিকা সংক্রান্ত প্রযুক্তিও উন্নত করাও এই মৌ-র অন্যতম লক্ষ্য। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানসম্পদের সঙ্গে ভারত বায়োটেকের প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগানো হবে। একই সঙ্গে এই গাঁটছড়াকে নতুন প্রযুক্তি ও কম মূল্য়ে টিকা তৈরির একটি বড় সুযোগ বলে মনে করছে ভারত বায়োটেক।
এই দিন ভারত বায়োটেকের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান কৃষ্ণা এলা জানান, তরুণ বিজ্ঞানীদের মেধাকেও কাজে লাগানোই আসল লক্ষ্য। এতে গবেষণার মান আরও উন্নত হবে বলেই আশা করছেন তিনি। অন্যদিকে সিডনি ইনফেকশাস ডিজিজ ইন্সটিটিউটের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেমি ট্রিকাস বলেন, বায়োথোপিউটিকস প্রযুক্তির উন্নয়ন বিশেষভাবে জরুরি বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে টিকার প্রযুক্তির দিকেও নজর দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কোভিডের সময়ও টিকা তৈরির ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ভারতের টিকা সংস্থা। শুধু ভারতে টিকা সরবরাহ নয়। ভারতের বাইরেও একাধিক দেশে টিকা সরবরাহ করেছে ভারতের গবেষণা সংস্থাগুলি। এবার সেই প্রযুক্তিই আরও উন্নত করার পরিকল্পনা করেছে ভারত বায়োটেক।
(Feed Source: hindustantimes.com)