কেকে-র মৃত্যুতে নজরুল মঞ্চে ভিড়ের যোগ নেই, প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা বিনীত গোয়েলের

কেকে-র মৃত্যুতে নজরুল মঞ্চে ভিড়ের যোগ নেই, প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা বিনীত গোয়েলের

কেকের মৃত্যুর সঙ্গে নজরুল মঞ্চের দমবন্ধকর পরিস্থিতির কোনও যোগ নেই প্রমাণ করতে এবার ময়দানে নামল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল দাবি করলেন, ওই সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে আসনসংখ্যার থেকে বেশি দর্শক ঢুকে পড়লেও তাতে কারও কোনও সমস্যা হয়নি। এমনকী আগুন নেভানোর সিলিন্ডার দিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণের যে চেষ্টা হয়েছিল তাকেও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন তিনি।

এদিন বিনীত গোয়েল বলেন, গত ৩১ মার্চ সন্ধ্যা ৬.২২ মিনিটে কেকে নজরুল মঞ্চে পৌঁছন। তার অনেক আগে থেকেই নজরুল মঞ্চের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক। সন্ধ্যা ৭.০৫ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন তিনি। মঞ্চে ওঠার আগে তাঁকে ঘিরে ধরা হয়েছিল, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। ওই দিনের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ সংগ্রহ করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, ‘নজরুল মঞ্চের ভিতরে নির্দিষ্ট সংখ্যার থেকে বেশি মানুষ ছিলেন একথা ঠিক। তবে দমবন্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল বলে যে দাবি করা হচ্ছে তার সমর্থনে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দর্শকদের সেখানে গানের সঙ্গে নাচতে দেখা গিয়েছে। কোনও দর্শক পুলিশকে কোনও শারীরিক অস্বস্তির কথা জানাননি। ভিড় সেদিন নিয়ন্ত্রণেই ছিল।’

কলকাতার নগরপাল বলেন, ‘কেকের অনুষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার ফাটানো হয়েছিল সেকথা ঠিক। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে বচসার পর একপক্ষ সিলিন্ডার ফাটায়। কিন্তু ঘটনার সময় কেকে গ্রিন রুমে ছিলেন। যা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে।’ এমনকী এসিও সেদিন কাজ করছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান শেষে গায়ক কেকে-র মৃত্যুর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। নগরপাল জানিয়েছেন, ‘এবার থেকে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে হবে পুলিশকে। প্রেক্ষাগৃহের আসন সংখ্যার থেকে বেশি টিকিট কোনও অবস্থাতেই বিক্রি করা যাবে না। অনুষ্ঠান শুরুর আগে একজন চিকিৎসক ও একটি অ্যাম্বুল্যান্স মোতায়েন করতে হবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে আহতদের কোন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে তা আগে থেকে কথা বলে জানিয়ে রাখতে হবে পুলিশকে। কোনও প্রেক্ষাগৃহে দর্শকধারণ ক্ষমতা থেকে যেন বেশি মানুষ ঢুকে পড়তে না পারে সেদিকে নজর রাখবে কলকাতা পুলিশ।’

প্রশ্ন হল, কেকে-র মৃত্যুর পিছনে যদি নজরুল মঞ্চের অব্যবস্থা দায়ী না থাকে তাহলে কেন এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছে পুলিশ?

(Source: hindustantimes.com)