নীরজ চৌহান
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তত ১৮৪জন দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেছে ভারত যারা ভারত থেকে পালিয়ে গিয়ে বিদেশে গা ঢাকা দিয়েছে। তবে ইতিমধ্য়েই ইন্টারপোলের সহায়তায় তাদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে ভারত। যে দেশে তারা রয়েছে সেখানে কী ধরনের আইন রয়েছে তার দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে ভারত।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি সিবিআই শুক্রবার একথা জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি ২৪জন পলাতক দুষ্কৃতীকে এদেশে ফেরানোর ব্যাপারে এবছরই সমণ্বয় রক্ষা করেছে। ২০২১ সাল থেকে আরও ৬৫জনকে ফেরত আনা হয়েছে।
সিবিআই মুখপাত্র একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এটা মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০২৩ সালে ২৪জন ক্রিমিনালকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই কাজ করা হয়েছে। এরপর ভারতের পক্ষ থেকে সব মিলিয়ে ১৮৪জন ক্রিমিনালকে বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে ফেরত আনার জন্য় চিহ্নিত করা হয়েছে। এব্যাপারে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
নানা পদ্ধতির মাধ্যমে ওই বিদেশে গা ঢাকা দেওয়া ক্রিমিনালদের সম্পর্কে খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। মূলত প্রযুক্তিগত তথ্য়, ফোনের অবস্থান, অপরাধ সংক্রান্ত কাজকর্ম, গোয়েন্দা তথ্য়কে কাজে লাগিয়ে ওই পলাতক ক্রিমিনালদের সম্পর্কে খোঁজ পেয়েছে ভারতের এজেন্সি।
তবে গত তিন বছরে একাধিক পলাতক দুষ্কৃতীকে প্রত্য়ার্পণ করা হয়েছে ভারতের হাতে। তার মধ্যে অন্য়তম হল সুভাষ শঙ্কর পরব( তিনি নীরব মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, গত এপ্রিল মাসে তাকে কায়রো থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল), হরপীত সিং ওরফে হ্য়াপি মালয়েশিয়া( লুধিয়ানা কোর্ট বোমা বিস্ফোরণে পেছনে হাত ছিল তার) তাকে কুয়ালালামপুর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। বিক্রমজিৎ সিংকে ভিয়েনা থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। সে খলিস্তানী জঙ্গি বলে পরিচিত ছিল।
ইন্টারপোলের তথ্য় বলছে, সব মিলিয়ে ২৭৭-মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনালের বিরুদ্ধেও রেড নোটিশ জারি করা এখনও বকেয়া থেকে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত এজেন্সির ডিরেক্টর প্রবীন সুদ ও এনআইএ প্রধান দীপঙ্কর গুপ্তা ভিয়েনাতে ৯১তম সাধারণ অধিবেশনে এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। ২৮ নভেম্বর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই সম্মেলন হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে,আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ থেকে খলিস্তানি চরমপন্থীরা কাজকর্ম চালাচ্ছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)