জিন পরীক্ষাই সংকেত দেয় ক্যানসারের! কাদের করাতেই হবে? জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা

জিন পরীক্ষাই সংকেত দেয় ক্যানসারের! কাদের করাতেই হবে? জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা

ক্যানসারের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে জিনের। কিছু জিন পরীক্ষাই বলে দিতে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে কি না। যেমন ধরা যাক, স্তন ক্যানসারের কথা। স্তন ও জরায়ুর ক্যানসারে সারা দেশে এক বড় সংখ্যক মহিলারা ভুক্তভোগী। বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর দেশে দেড় লাখেরও বেশি মহিলা এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন। অথচ জিন পরীক্ষা করালে আগেই ধরা পড়ে ক্যানসারের ঝুঁকি। কিন্তু সবারই কি করানো জরুরি এই পরীক্ষা? এই নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে বিশদে কথা বললেন মেডজিনোমের মলিকিউলার প্যাথোলজিস্ট আমব্রিন আমন।

কী সেই জিন পরীক্ষা? বিআরসিএ১ ও বিআরসিএ২ জিনের পরীক্ষা। বিআরসিএ-এর অর্থ ব্রেস্ট ক্যানসার জিন। জিন পরীক্ষার সময় খতিয়ে দেয় এই দুই জিনের কোনওরকম বদল হচ্ছে কি না। এই বদলকে অবশ্য সাধারণ বদল নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এর নাম ‘প্যাথোজেনিক মিউটেশন’। বিশেষজ্ঞ আমব্রিন আমনের কথায়, ‘জিন দুটির প্যাথোজেনিক মিউটেশন ঘটার প্রবণতা থাকলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বেশ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সেই মিউটেশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখাটাই হল পরীক্ষা।’

কোন কোন ক্যানসার ধরা পড়ে এই দুই জিনের পরীক্ষা করালে? আমব্রিনের কথায়, ‘এই দুই জিনের পরীক্ষা করালে স্তন, জরায়ু, প্রস্টেট ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের মতো রোগগুলির ঝুঁকি সহজেই ধরা পড়ে। বিআরসিএ১/২ জিনের পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল এলে ক্যানসারের আশঙ্কা ৭০ গুণ বেড়ে যায়।’

কাদের এই টেস্ট না করলেই নয়? কথা প্রসঙ্গে আমব্রিন আমন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থার কথা তুলে আনলেন। তাঁর কথায়, ‘বাবা-মায়ের কারও শরীরে বিআরসিএ জিনের মিউটেশন হলে সন্তানের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আশঙ্কা থাকে। তবে কিছু বিশেষ অবস্থায় এই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত।’

  • পরিবারে আগে কারও ক্যানসার হয়ে থাকলে। বিশেষ করে স্তন, প্রস্টেট, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার হয়ে থাকলে।
  • পরিবারের কোনও পুরুষের স্তন ক্যানসার হয়ে থাকলে।
  • সরাসরি আত্মীয় এমন কারও এই বিআরসিএ১/২ জিন পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ এলে।
  • এছাড়াও, ৪৫ বছরের কম বয়স বা মেনোপজ স্তন বা জরায়ুর ক্যানসার ধরা পড়লে।

(Feed Source: hindustantimes.com)