Israel-Palestine Conflict: গাজায় মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেল, আহত প্রায় ৪২ হাজার! এত রক্ত কেন?

Israel-Palestine Conflict: গাজায় মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেল, আহত প্রায় ৪২ হাজার! এত রক্ত কেন?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মৃত্যুর মিছিল। রক্তের প্রবাহ। হিংসার উদযাপন। গাজার দিকে তাকালে যেন চেনা যায় না ভূখণ্ডটিকে। সম্প্রতি এক হাড়হিম করা তথ্য সামনে এল।  গাজা উপত্যকায় প্রায় দু’মাস ধরে চলা ইজরায়েলি হামলায় ১৫ হাজার ৫২৩ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪১ হাজার ৩১৬ জন। গতকাল, রবিবার প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও এক শিউরে-ওঠা খবর দিয়েছেন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইজরায়েলের হামলায় নিহত এই প্যালেস্টাইনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু! অনেকে এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে আছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে শেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ৭০০-রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন!

গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে সেদিনই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইজরায়েল। এবং এখনও পর্যন্ত তা অব্যাহত। গাজায় ইজরায়েলের টানা ৪৭ দিনের হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল এখানে। সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হতে না-হতেই আবারও গাজায় হামলা শুরু করেছে ইজরায়েল। দক্ষিণ গাজায় ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলের বাহিনী।

ইজরায়েলের যুদ্ধের ধরন-ধারণ ক্রমশ নির্মম হয়ে উঠছে। শিশুদের উপর হামলার নিন্দা হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। তারই মধ্যে শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। গাজার সবথেকে বড় রিফিউজি ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল। ইজরায়েলের দাবি ছিল, শরণার্থী শিবিরে করা তাদের এই এয়ারস্ট্রাইকে হামাসের এক শীর্ষ কম্যান্ডার ও বেশ কিছু সংখ্যক ‘হামাস জঙ্গি’ নিহত হয়েছে। গাজার রিফিউজি ক্যাম্পে হানায় নিহত হামাসের সেন্ট্রাল জাবালিয়া ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ডার। ওই হানায় আরও বেশ কয়েকজন হামাস জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি ছিল ইজরায়েলের। তাদের দাবি ছিল, ওই হামাস কম্যান্ডার ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের উপরে হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এর আগেই গাজায় মানবিক পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মর্গগুলি লাশে ভরে গিয়েছে। দোকান-পাট সব খালি। স্যানিটেশনের অবস্থা ভয়াবহ। শ্বাসকষ্টজনিত রোগ-অসুখ বেড়ে গিয়েছে। কোথাও কোনও জায়গাই নিরাপদ নেই!

(Feed Source: zeenews.com)