একদিনেই ৭০০ প্লেসমেন্ট অফার IIT খড়গপুরে, ১ কোটির প্যাকেজ পেলেন ক’জন?

একদিনেই ৭০০ প্লেসমেন্ট অফার IIT খড়গপুরে, ১ কোটির প্যাকেজ পেলেন ক’জন?

২০২৩ সালের প্লেসমেন্ট সিজনের প্রথমদিনই ৭০০টি প্লেসমেন্ট অফার পেলেন আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়ারা। এর মধ্যে থেকে অনেকগুলোই আবার প্রি-প্লেসেন্ট অফার। প্রতিষ্ঠানের বিবৃতি অনুযায়ী, এই ৭০০টি অফারের মধ্যে থেকে ১৯টি এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফ থেকে। অ্যাপল, গুগলের মতো সংস্থা আইআইটি খড়গপুরের প্লেসমেন্ট সিজনে যোগ দিয়েছে মেধাবী পুড়য়াদের চাকরি দেওয়ার উদ্দেশ্যে। আর এর মধ্যে ৬টি অফার ১ কোটি টাকারও বেশি বার্ষিক প্যাকেজের।

শনিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে আইআইটি খড়দপুরের তরফে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘৬১টিরও বেশি কোম্পানী আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভূমিকায় চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে প্লেসমেন্ট সিজনের প্রথমদিনেই। প্রাথমিকভাবে সফ্টওয়্যার, বিশ্লেষণ, ফিনান্স-ব্যাংকিং, কনসাল্টেন্সি এবং কোর ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা কর্মী নিয়োগ করতে আমাদর প্রতিষ্ঠানে আসে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাপল, আর্থার ডি লিটল, দা ভিঞ্চি, ক্যাপিটাল ওয়ান, দে শ, ইএসক্সএল সার্ভিসেস, গ্লিন, গুগল, গ্র্যাভিটেশন, মাইক্রোসফট, ম্যাকিনসি, কোয়ান্টবক্স, ডেটাব্রিক্স, স্কোয়ার পয়েন্ট, টিএসএম, পালো অল্টো। এছাড়া আরও অনেক সংস্থার থেকেই প্রি-প্লেসমেন্ট অফার পেয়েছেন আমাদের পড়ুয়ারা।’

জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের চাকরি দেওয়ার জন্য ‘হাইব্রিড মোডে’ ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বহু সংস্থার কর্তারাই উপস্থিত হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানেই। এদিকে বিগত বছরগুলিতে আইআইটি খড়গপুর থেকে প্লেসমেন্টের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। সেই সমস্যার সমাধান কীভাবে করা হল? এই প্রশ্নের জবাবে আইআইটি খড়গপুরের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের চেয়ারপার্সন প্রফসর রাজীব মাইতি বলেন, ‘নতুন নতুন সংস্থার সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলে তাদেরকে প্লেসমেন্ট সিজনে এসেছে প্রতিষ্ঠান। সঠিক কৌশলে এগিয়ে যাওয়ায় এই সমস্যার সমাধান করা গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গরিমা আবারও প্রতিষ্ঠা করা গিয়েছে।’ জানা গিয়েছে, এর জন্য ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের তরফ থেকে ‘অ্যাকাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি কনক্লেভ’ অনুষ্ঠিত করা হয়েছে। প্রফেসর মাইতি বলেন, ‘এই কনক্লেভের মূল লক্ষ্য হল আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ যাতে তাদের কাজ তুলে ধরতে পারে এবং সম্ভাব্য নিয়োগকারী সংস্থাদের কাছ তা পৌঁছে দিতে পারে।’

এদিকে আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর প্রফেসর ভিকে তিওয়ারি বলেন, ‘বেশ কিছু নাম করা সংস্থা ইতিমধ্যেই অগস্টে এসেছিল ইন্টার্নশিপের অফার দিতে। সেই সময়ই তারা এই বছরের প্লেসমেন্ট সিজনে অংশ নেওয়ার জন্য তাদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছিল। ২০২৩-২৪ সালে পাশ করে বেরোনো পড়ুয়ারাও আগ্রহ দেখিয়েছেন এতে। প্লেসমেন্টের বিষয়ে তারা বিশ্বাস দখিয়েছেন।’ অবশ্য ডিরেক্টর তিওয়ারি মেনে নিয়েছেন, গতবছরগুলির তুলনায় এবারের প্লেসমেন্ট সিজন ‘ধীর গতিতেই’ চলছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)