ডায়মন্ডহারবার থেকে ক্রুজে চেপে দিঘা-পুরী, ফাটাফাটি পর্যটন, ভাড়া কত?

ডায়মন্ডহারবার থেকে ক্রুজে চেপে দিঘা-পুরী, ফাটাফাটি পর্যটন, ভাড়া কত?

কলকাতা থেকে দিঘা কিংবা পুরী যেতে গেলে আমজনতার ভরসা বলতে, হয় ট্রেন কিংবা বাস। কিন্তু ধরুন জলপথে যদি দীঘা যাওয়ার কথা বলা হয়? বিশ্বাস হচ্ছে না? সেই ব্যবস্থা কিন্তু আসতে পারে শীঘ্রই। এটা শুরু হতে পারে ডায়মন্ডহারবার থেকে। অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের লোকসভা কেন্দ্র থেকে সোজা দীঘা, আর পুরী। সেটাও আবার ক্রুজে চেপে।বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে চেপে পর্যটকরা দীঘা ও পুরীতে যেতে পারবেন। আম বাঙালির অতি প্রিয় ডেস্টিনেশন।

ডায়মন্ডহারবার পুরসভা এই ক্রুজ পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে। পিপিপি মডেলে এটা হতে পারে। এনিয়ে আলোচনাও হয়েছে কয়েক দফা। এর ট্রায়াল রান শীঘ্রই শুরু করা হবে। তবে এই জার্নি যথেষ্ট উপভোগ্য হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ জলপথে প্রকৃতি দেখতে দেখতে এক অন্যরকম অনুভূতি হবে।

আর একবার এই পরিষেবা চালু হলে তা যে পর্যটকদের কাছে কতটা আকর্ষণীয় হবে তা বলাই বাহুল্য। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই ক্রুজটি ডায়মন্ডহারবার জেটি থেকে ছাড়বে। তারপর প্রথমে এটি গঙ্গাসাগরে যাবে। এই জায়গার প্রতিও আগ্রহ আছে অনেকেরই। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ থেকে এটি পুরীর দিকে রওনা দেবে। মানে গঙ্গাসাগর থেকে পুরী। পরপর দুটি তীর্থ দর্শন হবে। সেটাও আবার জলপথে। দুষণ, কিংবা গাড়ির ঝাঁকুনির কোনও ব্য়াপার নেই।

এদিকে সূত্রের খবর, ডায়মন্ডহারবার থেকে দিঘার দিকে যে ক্রুজ যাবে সেটার সময় লাগতে পারে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা। ভাবা যায়! ট্রেনে কিংবা বাসে হলেও এত দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছন সম্ভব নয়। সেটাই হবে ক্রুজে। তবে ভাড়ার ব্য়াপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে পর্যটকদের নাগালের মধ্য়ে রাখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই সুরক্ষার ব্যাপারটিও রয়েছে। সব মিলিয়ে একেবারে হই হই ব্যাপার। আর দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরও তৈরি হচ্ছে। এটা তো বাড়তি পাওনা।

আর পুরী যেতে সময় লাগলে পারে ৬ ঘণ্টা। সেক্ষেত্রে কবে এই পরিষেবা চালু হবে সেদিকে খেয়াল রাখুন। এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।

(Feed Source: hindustantimes.com)