বিশদে…
জুকেরবার্গ তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘কয়েক বছর ধরে মেসেঞ্জার পুনর্নির্মাণের পর, সমস্ত ব্যক্তিগত ফোন এবং চ্যাটের ক্ষেত্রে আমরা এটির ডিফল্ট এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন করতে পেরেছি। গোটা টিমকে সে জন্য অশেষ অভিনন্দন।’
মেটা কর্তৃপক্ষের তরফে, ‘মেসেঞ্জার’-র প্রধান, লরেডানা ক্রিসান একটি ব্লগ পোস্টে লেখেন, ‘আমরা বিষয়টি একদম নিখুঁত করতে চেয়েছিলাম। তাই এতটা সময় লেগে গেল। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার, ক্রিপ্টোগ্রাফার, ডিজাইনার, পলিসি এক্সপার্ট এবং প্রোডাক্ট ম্যানেজার একেবারে গোড়া থেকে মেসেঞ্জার অ্য়াপটিকে তৈরি করতে নিরন্তর পরিশ্রম করেছেন।’
ফিরে দেখা..
২০১৬ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম বার মেসেঞ্জারে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ চালু করেছিল মেটা। তবে সেটা পরীক্ষামূলক হওয়ার কারণেই নিয়ন্ত্রিত ভাবে চালু করা হয়। ‘সিক্রেট কনভারসেশনস’ মোডে বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখেছিল সংস্থাটি। এর পর, ২০২১ সালে, ভয়েস এবং ভিডিও কলের জন্য ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ চালু করে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে, গ্রুপ চ্যাট এবং কলের জন্যও সক্রিয় হয় এই ফিচার। ওই বছরেরই অগাস্টে, ব্যক্তিগত চ্যাটে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ পরীক্ষা শুরু করেছিল মেটা। ২০২৩ সালের অগাস্টে জানানো হয়, বছর শেষেই ব্যক্তিগত চ্যাটে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ চালু হয়ে যাবে। কথামতোই কাজ করে দেখাল ফেসবুকের ‘পেরেন্ট’ সংস্থা। যে ‘সিগন্যাল প্রোটোকল’ ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ফোন ও চ্যাটে এই ফিচার চালু করা হল, সেটির জন্য মেসেঞ্জারের কিছু অন্য বৈশিষ্ট, যেমন স্টিকার লাইব্রেরি এবং চ্যাট স্টোরেজ নতুন করে সাজাতে হয় কর্তৃপক্ষকে। তাতেই এতটা সময় লেগে যায়।
তবে সমস্ত পরিশ্রম শেষে যে ব্যবহারকারীদের একাংশের হাতে এই নতুন ফিচার তুলে দেওয়া গিয়েছে, তাতেই খুশি জুকেরবার্গ ও তাঁর টিম।
(Feed Source: abplive.com)