যোগ্যদের নিয়োগের দাবিতে, আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাস্তার উপর। যাঁদের আজ স্কুলে বসে পড়ানোর কথা, রাস্তায় বসে তাঁরা চাকরির দাবিতে চোখের জল মুছছেন। কেটেছে অনেকগুলো উৎসবের রাত। তাঁরা ভুলেছেন বাড়ির পথ। রোদ, ঝড়, জল বৃষ্টি মাথায় করেই চাকরির দাবিতে রয়েছেন পথে। পেরিয়ে গিয়েছে একের পর এক উৎসব অথচ তাঁদের জীবনে আসেনি কোনও নতুন স্বপ্নের হাতছানি। কলকাতার বুকে যখন এই ছবি তখন কয়েকশো মাইল দূরে পাহাড়ের বুকে দাঁড়িয়ে শূন্যপদ পূরণের ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা: এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “২০০৩ সাল খেকে বন্ধ রিজিওনাল স্কুল সার্ভিস কমিশন ফর হিলস। যার মাধ্যমে পাহাড়ের ১৪৬ আপার প্রাইমারি, মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকদের ৫৯০টি শূন্যপদ আছে। রিজিওনাল স্কুল সার্ভিস কমিশন ফল হিলস তৈরি করে এই শূন্যপদে নিয়োগ হবে। জিটিএ-এর আওতায় পাহাড়ে কোনও জেলা স্কুল বোর্ড নেই। তাও তৈরি করা হবে। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে অ্যাডহক কমিটি ফর ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড তৈরি করা হবে। সেখান থেকে সুযোগ সুবিধা পাবেন। ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডেও রয়েছে এক হাজার শূন্যপদ। তাও পূরণ করা হবে।”
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। আদালতে একের পর এক মামলা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা। নিয়োগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। রাজ্যে শিক্ষকের শূন্যপদ নিয়ে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দাবি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে একদিনের মধ্যে সেই অবস্থান থেকে সরেও আসেন তিনি। মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেছিলেন, সংখ্যাটা ৭৮১। বিতর্কের মুখে, একদিন পরই, শূন্যপদের সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি। সূত্রের দাবি, শিক্ষামন্ত্রীর মঙ্গলবারের দেওয়া পরিসংখ্যান ঘিরে শাসকদলের অন্দরেও আলোচনা শুরু হয়ে যায়। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চালানো, বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়ায় বলেও অভিযোগ উঠেছিল।
(Feed Source: abplive.com)