সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৪ জনের ফাঁসি হবে, বহু বছর পর এ দেশে মৃত্যুদণ্ড শুরু হয়েছে

সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৪ জনের ফাঁসি হবে, বহু বছর পর এ দেশে মৃত্যুদণ্ড শুরু হয়েছে
ছবি সূত্র: এপি ফাইল
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে পুলিশ টহল দিচ্ছে।

হাইলাইট

  • সর্বশেষ মিয়ানমারে বিচারিকভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ১৯৮৮ সালে।
  • ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির দলের একজন সাবেক এমপির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে সামরিক সরকার।
  • মিয়ানমার বর্তমানে সামরিক শাসনের অধীনে রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ির অভিযোগ রয়েছে।

মায়ানমার: মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ড আবার চালু হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ দেশে শেষবার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। আদালত গত 34 বছর ধরে মৃত্যুদণ্ড এড়িয়ে চললেও মিয়ানমারের সামরিক সরকার এটি আবার চালু করতে চলেছে। মিয়ানমারের সামরিক সরকার শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে তারা ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির দলের একজন সাবেক আইনপ্রণেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে। এছাড়া দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত একজন গণতন্ত্রপন্থী কর্মীকেও ফাঁসি দেওয়া হবে।

‘মোট ৪ জনের ফাঁসি হবে’

শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যমের দেওয়া খবর অনুযায়ী, সামরিক সরকার বলেছেন মোট ৪ জনকে ফাঁসি দিতে হবে। ভয়েস অব মিয়ানমার ও এনপি নিউজ নামে দুটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ তথ্য জানিয়েছে ang কি পার্টির প্রাক্তন সাংসদ ফিও জেয়া থাও এবং কর্মী কিয়াও মিন ইউ ওরফে জিমিকে ফাঁসি দেওয়া হবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে একজন নারীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত আরও দুই ব্যক্তিকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। মায়ানমার 1988 সালের পর এই প্রথম কোনো ব্যক্তিকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।

সরকারি মুখপাত্র মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তারিখ উল্লেখ করেননি
সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জে মিন তুনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে চারজনকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের আইনি আপিল খারিজ হওয়ার পর নিশ্চিত করা হয়েছে। তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে জেলের পদ্ধতিতে চারজনকে ফাঁসি দেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডের জন্য সরকার প্রধানের অনুমোদন থাকতে হবে। তবে কবে ওই ব্যক্তিদের ফাঁসি দেওয়া হবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি।

(Source: indiatv.in)