ভুলবশত পুলিশের গুলি লেগেছিল মাথায়, শেষমেশ মৃত্যু মহিলার, চাঞ্চল্য আলিগড়ে

ভুলবশত পুলিশের গুলি লেগেছিল মাথায়, শেষমেশ মৃত্যু মহিলার, চাঞ্চল্য আলিগড়ে

ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ ডিসেম্বর। সেদিন আলিগড়ে একটি পুলিশ থানায় পাসপোর্টের কাজের জন্য গিয়েছিলেন এক মহিলা। সেখানে পুলিশের এক অফিসার বন্দুক হাতে নিয়ে পরিষ্কার করতে গিয়ে, আচমকা তাঁর পিস্তল থেকে গুলি গিয়ে লাগে মহিলার মাথায়। মুহূর্তে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন মহিলা। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়। সপ্তাহব্যাপী লড়াইয়ের পর ওই মহিলার সদ্য মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার পর পলাতক ওই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার। তাঁকে সাসপেন্ডও করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। এদিকে, মহিলার মৃত্যুতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। আলিগড় পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই মহিলার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করে। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় সঠিক পথ অবলম্বন করে পদক্ষেপ করা হবে।  আলিগড়ের এসএসপি কলাইনিধি নাইথানি বলেছেন, ‘আমরা নিহতের পরিবারের সঙ্গে আছি এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পলাতক সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে আলিগড়ের কোতোয়ালি থানায় ৩০৭ ধারায় (খুনের চেষ্টা) মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ এদিকে, গুলি লাগার দিনের গোটা ঘটনা ধরা পড়েছিল সিসিটিভিতে। সেখানেই দেখা যায়, ওই মহিলা গিয়েছেন থানায়। সঙ্গে ছিলেন এক পুরুষ। দেখা যায়, এই অভিযুক্ত পুলিশকর্মী তখন নিজের পিস্তল পরিষ্কার করছেন। এমন সময়ই গুলি গিয়ে সোজা লাগে এই মহিলার মাথায়। অকস্মাত কী ঘটে গিয়েছে, তা বোঝার আগেই ততক্ষণে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মহিলার পরিবার দাবি করেছে, পাসপোর্টের ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ ঘুষ চাইছিল। তবে তা দিতে চাওয়ায় থানায় নিয়ে গিয়ে মহিলাকে খুন করা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত মনোজ কুমার শর্মা। ওই পুলিশ অফিসারকে নিয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ‘অপরাধমূলক অবহেলার অভিযোগে সাব ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার শর্মার নামে জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট (NBW) জারি করা হয়েছে। পলাতক সাব ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতারের জন্য ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার অফিসের কেরানিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হয়েছে। ’

জানা গিয়েছে, আহত মহিলার নাম ইশরত নিগার। তাঁর বয়স ৫২ বছর। গত ১ সপ্তাহ ধরে তিনি আলিগড়ের জে এন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ইশরত নিগার এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। টানা কয়েক দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালে লড়েছেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানান, তাঁর মাথা থেকে বুলেট বের করা গেলেও, পেলেট তাঁর মাথায় গেঁথে ছিল। ইতিমধ্যেই ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(Feed Source: hindustantimes.com)