NAAC-এর A রেটিং পেল মুরলীধর গার্লস কলেজ! কোন পরিকাঠামোর গুণে এ স্বীকৃতি

NAAC-এর A রেটিং পেল মুরলীধর গার্লস কলেজ! কোন পরিকাঠামোর গুণে এ স্বীকৃতি

তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ন্যাক (NAAC) থেকে A রেটিং অর্জন করল মুরলীধর গার্লস কলেজ। ২০০৪ সালে প্রথমবারের চেষ্টায় ন্যাক (National Assessment and Accreditation Council) থেকে B+ রেটিং পায় দক্ষিণ কলকাতার এই বিখ্যাত কলেজ। এর দীর্ঘ ১২ বছর পর  আবার রেটিং করে ন্যাক। তাতে B++ রেটিং পায় কলেজটি। এবার সাত বছরের মাথায় ন্যাক A রেটিং দিল মুরলীধর গার্লস কলেজকে। প্রসঙ্গত, কলকাতার মধ্যে খুব কম কলেজরই এই রেটিং রয়েছে।

কেন  স্বীকৃতি মুরলীধর গার্লস কলেজকে

মূলত পরিকাঠামো ও শিক্ষাব্যবস্থা কতটা উন্নত তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রেটিং দেয় ন্যাক। মুরলীধর গার্লস কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষা কিঞ্জলকিনি বিশ্বাস হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানালেন কলেজের অত্যাধুনিক পরিকাঠামোর কথা। আট বছর তিনি এই কলেজে। তাঁর সময়ে  ‘কলেজে ২৭ জন প্রফেসর নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নিযুক্ত হয়েছেন কলেজ সার্ভিস কমিশন মারফত। অন্যদিকে বেশ কিছু প্রফেসর ইতিমধ্যে পিএইচডি শেষ করেছেন তাদের। যা শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়নে সাহায্য করেছে।’

কী কী পরিকাঠামো রয়েছে কলেজে

  • ‘ডিজিটাল লার্নিংয়ের উপর জোর দিয়েছে কলেজ। কোভিডের সময় থেকে সেই ব্যবস্থা আরও বেড়েছে। আইসিটিএ অর্থাৎ অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বরাবর সচেতন মুরলীধর গার্লস কলেজ । প্রতিটি বিভাগে  প্রোজেক্টর, কম্পিউটার, ডিজিটাল লার্নিংয়ের জন্য বিভিন্ন ডিভাইসও দেওয়া হয়েছে।’ বললেন মুরলীধর গার্লস কলেজের ভূগোলের অধ্যাপিকা শুভশ্রী দত্ত। অন্য দিকে অধ্য়ক্ষা বলেন, ‘কোভিডের সময় ডিজিটাল লার্নিং পোক্ত করতে গোটা পরীক্ষাব্যবস্থা অনলাইন ওয়েবসাইটে করা হয়।’
  • কলেজের নিজস্ব গবেষণা সংক্রান্ত ম্যাগাজিনও প্রকাশিত হয় নিয়মিত। অধ্যক্ষা কিঞ্জলকিনির কথায়, এখন দুই বছর গবেষণা সংক্রান্ত ম্যাগাজিন প্রকাশিত হচ্ছে। ম্য়াগাজিনে থাকছে আইএসবিএন ও আইএসএসএন নম্বর।
  • এছাড়াও, কলেজের একটি ক্রেশ তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে অধ্যক্ষার। তিনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষিকারাও মাতৃত্বকালীন ছুটি নেন। তাদের জন্যই এই ব্যবস্থা থাকবে। ন্যাকও এই বিষয়ে উৎসাহ জুগিয়েছ।’

পড়ুয়াদের স্কিলের উপর জোর

  • অধ্যক্ষা কিঞ্জলকিনির কথায়, ‘পড়ুয়াদের স্বনির্ভরতার জন্য কলেজে একটি ইনকিউবেশন সেল গড়া হয়েছে। সেখানে পড়ুয়াদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের জন্য নানা ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কলেজের অভ্যন্তরীণ কেনাকাটাও চলে সেখানে।’
  • পড়াশোনার পাশাপাশি এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের স্কিলের উপরেও নজর দিয়েছে কলেজ। মেয়েদের  ভবিষ্যত সুনিশ্চিত ১৬টি অ্যাড-অন কোর্স চালু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ন্যাকের তরফে A রেটিং পেলে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়। পাশাপাশি পড়ুয়ারাও প্লেসমেন্ট ও উচ্চশিক্ষার সময় নানা সুবিধা পায়। এই দিন কিঞ্জলকিনি বিশ্বাস বলেন, ন্যাকের পরিদর্শক দল বেশ খুশি কলেজের কাজে। সে কথাও রিপোর্টে জানানো হয়েছে। কলেজের দ্বিতীয় একটি ক্যাম্পাস শুরুর পরিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

(Feed Source: hindustantimes.com)