মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও একই পথ অনুসরণ করল। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে ২০২৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় একেবারে নতুন ব্যবস্থা থাকছে। প্রশ্নপত্রের ছবি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ইউনিক কোড থাকবে প্রশ্নে। ফলে প্রশ্নের ছবি হলের বাইরে এলেই সংসদের কর্তারা তা বুঝে যাবেন। রাজ্যের কোন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তা ধরা পড়ে যাবে। এমনকী পরীক্ষাকেন্দ্রের কোন ঘর থেকে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তাও জানা যাবে।
কী বলছেন সংসদ সভাপতি?
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (West Bengal council Of higher secondary education) সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রতিটি প্রশ্নপত্রে একটি করে ইউনিক কোড থাকছে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক বা চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এই কোড থাকে। সংসদ সভাপতির কথায়, পরীক্ষা ব্যবস্থা শুদ্ধ রাখতে প্রশ্নপত্রে এমন সিরিয়াল নম্বর থাকবে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স-সহ সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এটি থাকে। এটি একটি বিশেষ সিকিউরিটি ফিচার।
ইউনিক কোড কাজ করবে বিশেষ কায়দায়
উচ্চমাধ্যমিকে ৬০টি বিষয়ের পরীক্ষা হয়। তার মধ্যে ১৪টি বিষয়ের প্রশ্নপত্রে সিরিয়াল কোডগুলি থাকবে। প্রশ্নের একাধিক জায়গায় এনক্রিপটেড কিউআর কোড বা বারকোড থাকবে। সংসদের কর্তারা নিজস্ব সিস্টেমে সেই বারকোড বা কিউআর কোড স্ক্যান করতে পারবেন। স্ক্যান করলেই জানা যাবে প্রশ্নপত্রের ইউনিক সিরিয়াল নম্বর। তা দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে।
কোন পরীক্ষাকেন্দ্রে কত সিরিয়াল নম্বর থেকে কত সিরিয়াল নম্বরের প্রশ্নপত্র যাচ্ছে তা সংসদের রেকর্ডে থাকবে। আবার পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি রুমে কত থেকে কত সিরিয়াল নম্বরের প্রশ্নপত্র যাচ্ছে তাও জানবে সংসদ। তাই কোনও প্রশ্নপত্র হলের বাইরে বেরোলেই অপরাধীকে ধরে ফেলা যাবে।
কোন কোন বিষয়ে থাকছে এই কোড
বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, বিজনেস স্টাডিজ, ভূগোল, অ্যাকাউন্ট্যান্সি, ইতিহাস, সংস্কৃত। এই ১৪টি বিষয়ের প্রশ্নপত্রে থাকবে ইউনিক নম্বর-সহ অন্যান্য সিকিউরিটি ফিচার্স। এই সিরিয়াল নম্বর পরীক্ষার্থীকে তার নিজের খাতাতেও লিখতে হবে। উত্তরপত্রে সেই সিরিয়াল নম্বর লেখার জায়গা থাকবে। ছয় অথবা সাত ডিজিটের কোড হবে এই ইউনিক কোডটি। সেটাই খাতার নির্দিষ্ট জায়গায় লিখতে হবে পরীক্ষার্থীকে । যে বিষয়গুলির প্রশ্নপত্রে সিরিয়াল নম্বর থাকবে না, সে খাতাগুলির ওই জায়গা ফাঁকা রেখে দিতে হবে।
পরীক্ষার ‘অ্যাটেন্ডেন্স অ্যান্ড সিগনেচার রেজিস্টার’-এও কোন পরীক্ষার্থী কোন সিরিয়াল নম্বরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন, তার উল্লেখ করতে হবে। যা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব থাকবে হলের ইনভিজিলেটরের উপর। প্রসঙ্গত, মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও চালু করা হয়েছে ইউনিক সিরিয়াল নম্বরের ব্যবস্থাটি।
(Feed Source: hindustantimes.com)