সপ্তাহ খানেক আগে অন্তত ১১-১২ জনের চোট ছিল,সেই পরিস্থিতি থেকে জয়,স্বস্তিতে বাগান

সপ্তাহ খানেক আগে অন্তত ১১-১২ জনের চোট ছিল,সেই পরিস্থিতি থেকে জয়,স্বস্তিতে বাগান

একাধিক ফুটবলার চোটের কারণে খেলতে পারেননি। কোচ জুয়ান ফেরান্দোও আগের ওড়িশা এফসি ম্যাচে লালকার্ড দেখায় মাঠে বাইরে ছিলেন। তবুও শুক্রবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে রুখতে পারল না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ম্যাচের শুরুতেই চার মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ার পরেও, ফের ঘুরে দাঁড়ায় তারা। বিরতির আগেই ২-১ এগিয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এর পর দ্বিতীয়ার্ধে নর্থইস্ট ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরে আরও একটি গোল হয়। ৩-১ ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে মোহনবাগান।

ম্যাচ জেতায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি বাগানের খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফেরা। জুয়ান ফেরান্দোর লালকার্ড দেখায়, সাংবাদিক বৈঠকেও আসেননি তিনি। ম্যাচের পর সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা বলেন, ‘আমরা শুধু জেতার জন্য খুশি নই, ভালো খেলে জিতেছি, সে জন্যও খুশি। গোল খাওয়ার পরেও ছেলেরা যে ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, সে জন্যও খুশি। এই পারফরম্যান্সের জন্য দল হিসেবে আমরা গর্বিত। এ বার আমাদের সামনের দিকে তাকানোর পালা।’

এই ম্যাচে জয় পাওয়া ছাড়াও সবুজ-মেরুন সমর্থকদের স্বস্তি দেওয়ার আরও একাধিক কারণ ছিল। জেসন কামিন্সের গোলে ফেরা, দিমিত্রি পেত্রাতোস, হুগো বৌমাস এবং মনবীর সিংয়ের মাঠে ফেরা। তার উপর আবার বোনাস দলের বঙ্গ অধিনায়ক শুভাশিস বসুর গোল। ক্লিফোর্ড বলেছেন, ‘দলের ছেলেদের মানসিকতা অসাধারণ। একেবারে শুরু থেকে যে ভাবে শুরু করেছিলাম, যে ভাবে আমরা এই ম্যাচের প্রস্তুতি নিই সেই জন্যও খুশি। শুরুতেই গোল খাওয়ার পর সাধারণত, ফুটবলাররা তাদের মেজাজ হারায়, মাথা গরম করে ফেলে, মানসিক ভাবে পিছিয়ে যায়। কিন্তু এদিন আমাদের খেলোয়াড়রা গোল খাওয়ার পরেও একই রকম চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে। শুধু যে মানসিক দৃঢ়তা বজায় রেখেছে, তা নয়। টেকনিকের দিক থেকেও নিজেদের দক্ষতা বজায় রাখতে পেরেছে আমাদের ছেলেরা।’

কয়েক দিন আগে পর্যন্ত মোহনবাগান শিবির কার্যত হাসপাতালে পরিণত হয়েছিল। নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়রা অনেকেই চোট-আঘাতে জর্জরিত ছিলেন। সে জন্য এএফসি কাপের শেষ ম্যাচে দ্বিতীয় সারির দলও নামাতে হয়। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে এমন জয়ের জন্য গর্ববোধ করছেন মিরান্ডা। বলেন, ‘যে অবস্থায় এই ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা, তা ছিল ভয়াবহ। সপ্তাহ খানেক আগে আমাদের শিবিরে অন্তত ১১-১২ জনের চোট ছিল। আশিক, আনোয়ারদের তো অনেক দিনের জন্যই হারিয়েছি। ওদের পরে আমাদের হাতে কোনও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার ছিল না। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে এ ভাবে ম্যাচ জেতাটা কৃতিত্বের বই কি।’

এএফসি কাপ থেকে বিদায় নেওয়াটা শাপে বর হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাগানের সহকারী কোচ। তাঁর দাবি, ‘এএফসি কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরে আমাদের সামনে আইএসএল ছাড়া কিছু ছিল না। এটাই স্বাভাবিক। এএফসি কাপে আমাদের শুরুটাও খারাপ হয়নি। দুই ম্যাচে ছয়, তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট পেয়ে আমরা উপরের দিকেই ছিলাম। তার পরে দুটো ম্যাচ হেরে আমরা অনেক পিছিয়ে যাই। আমাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। অনেক সুযোগও হাতছাড়া করি ওই সময়ে। তবে এএফসি কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পরে আমরা একদিকে মনোনিবেশ করতে পেরেছি। ফলে এখানে আমাদের খেলায় উন্নতি হচ্ছে। নিজেদের উজ্জীবিতও করতে পারছি।’

(Feed Source: hindustantimes.com)