‘মোসাদ অফিসার’-র হাতে গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয়কে মৃত্যুদণ্ড ইরানে

‘মোসাদ অফিসার’-র হাতে গোপন তথ্য তুলে দেওয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয়কে মৃত্যুদণ্ড ইরানে

নয়াদিল্লি: গাজায় ইজরায়েলের নাগাড়ে বোমাবর্ষণ নিয়ে বিশ্বজুড়ে যখন তুমুল আলোড়ন চলছে, ঠিক সেই সময় ‘মোসাদ এজেন্ট’ সন্দেহে এক ব্যক্তিকে মৃত্য়ুদণ্ড দিল ইরান। সে দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থার বক্তব্য, ওই ব্যক্তি ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা ‘মোসাদ’-র হাতে গোপন তথ্য তুলে দিয়েছিলেন। তবে মৃত্য়ুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানায়নি ইরান। এমনিতেই, ‘হামাস’-র হামলা এবং ইজরায়েলের জবাবি আক্রমণে চলতে থাকা সংঘর্ষে উত্তাল পশ্চিম এশিয়া। এর মধ্যে ‘মোসাদ এজেন্ট’ সন্দেহে মৃত্য়ুদণ্ড দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নতুন অশান্তি তৈরি করবে না তো? প্রশ্ন উঠে গিয়েছে এর মধ্যে।

যা জানা গেল…
ওই ব্যক্তিকে কবে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কবেই বা মৃত্য়ুদণ্ড দেওয়া হল তা নিয়ে চুপ ইরান। তাদের সরকারি সংবাদসংস্থাও মুখে কুলুপ রেখেছে। শুধু এটুকু জানানো হয়, যে তাঁর তরফে আপিল করা হলেও খারিজ হয়ে যায়। ‘ইসলামিক রিপাবলিক’-র প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী এবং সংগঠনের হাতে তাদের বিরুদ্ধে প্রচারের অস্ত্র তুলে দিতেই ‘মোসাদ অফিসার’-র হাতে গোপন নথি তুলে দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি, দাবি সরকারি সংবাদসংস্থার। সিস্তান বালোচেস্তান প্রদেশের জাহেদান জেলে মৃত্য়ুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কয়েক দিন আগেই বালোচ ‘জঙ্গিরা’  ওই প্রদেশের একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে ১ ১ জন নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে। তার পরেই এই ঘটনা।

ইরান ও ইজরায়েল…
দু’দেশের মধ্যে সংঘাত ও শত্রুতার ইতিহাস পুরনো। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ভেস্তে দিতে নানা স্তরে, বার বার ধাক্কা দিয়েছে ‘মোসাদ’, এমন অভিযোগও নতুন নয়। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি, এমনই এক শিউরে ওঠার মতো অভিযান চালায় ‘মোসাদ’, শোনা গিয়েছে সেই কথাও। প্রত্যাশিত ভাবেই এই অভিযানের সত্যাসত্য জানা প্রায় অসম্ভব। তবে শোনা গিয়েছিল, তেল আভিভের অদূরে, ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থার ‘স্টেট অফ দ্য আর্ট’ সিচুয়েশন রুমে বসে ওই অভিযান তদারক করেন সেই সময়ের মোসাদ-প্রধান। তাঁর সবুজসঙ্কেত মিলতেই, তেহরানের দক্ষিণ দিকে শিরোবাদ শিল্পতালুকে ঢুকে পড়েন জনা কুড়ি অভিযানকারী। ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে দশটা। অভিযানকারীদের লক্ষ্য একটাই। সাদামাঠা শিল্পতালুকের একটি নির্দিষ্ট গুদামঘরে ঘরে রাখা যাবতীয় ফাইল সরিয়ে ফেলা। শোনা যায়, গত তিন দশক ধরে পরমাণু শক্তিধর দেশ হয়ে ওঠার জন্য ইরান যা যা চেষ্টা করেছে, তার সমস্তটা ধরা ছিল ওই গুদামে রাখা ফাইলগুলিতে। বিপুল পরিমাণ তথ্য হাতানোর জন্য সময় ছিল মোটে সাড় ছ’ঘণ্টা। কী হতে পারত, কী হয়েছিল, তার সত্যাসত্য জানা সম্ভব নয়। কিন্তু এমন বহু অভিযোগ অতীতেও ইজরায়েলি গুপ্তচর সংস্থার বিরুদ্ধে এনেছে ইরান। এখান থেকে সম্পর্কের সমীকরণ সহজেই অনুমেয়।
বাকিটা শুধুই কল্পনা ও আলো-আঁধারির কথা।

(Feed Source: abplive.com)