‘পয়সা খেয়েছেন প্রিন্সিপাল, মোবাইল নিয়ে SET দিচ্ছে প্রার্থীরা’, ভাইরাল হল ভিডিয়ো

‘পয়সা খেয়েছেন প্রিন্সিপাল, মোবাইল নিয়ে SET দিচ্ছে প্রার্থীরা’, ভাইরাল হল ভিডিয়ো

সেটের মধ্যেই টাকা দিয়ে কয়েকজন প্রার্থীকে আলাদা ঘরে বসিয়ে দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ বা প্রিন্সিপাল। যাঁরা মোবাইল নিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এমনই দাবি করে ফেসবুকে লাইভ করলেন এক ব্যক্তি। যিনি নিজেকে মুর্শিদাবাদের ওই কলেজের অধ্যাপক বলে দাবি করেছেন। আর সেই লাইভ ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োয় ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন যে কয়েক বছর ধরেই এরকম ঘটনা ঘটছে। আজ প্রমাণস্বরূপ লাইভ করেছেন বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। যদিও বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা কলেজে সার্ভিস কমিশনের তরফেও কিছু জানানো হয়নি।

আজ ‘স্টেট এলিবিজিটি টেস্ট’ (সেট) হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সময় বেশ কড়াকড়ি ছিল। মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি ছিল না। যাঁরা মোবাইল বা ব্যাগ নিয়ে যান, তাঁদের যাবতীয় সরঞ্জাম বাইরে রাখতে হচ্ছিল। আর সেই কড়াকড়ির মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়ে যায়। আদতে যেটি ফেসবুক লাইভ ছিল। যে ভিডিয়োয় দাবি করা হয়েছে, টাকা নিয়ে সেটের কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে আলাদা করে বসার বন্দোবস্ত করে দেন মুর্শিদাবাদের একটি কলেজের অধ্যক্ষ। ওই কয়েকজন প্রার্থী অন্য একটি রুমে পরীক্ষা দেন। তাঁদের কাছে মোবাইলও ছিল।

যিনি লাইভ করেন, তাঁকে শুরুতেই বলতে শোনা যায়, ‘এটা তুমি করতে পার না হুমায়ুন (যিনি ওই কলেজেরই শিক্ষক বলে দাবি করা হয়, যিনি নাকি ওই কক্ষে গার্ড দিচ্ছিলেন)। এই ঘরে আলাদা করে পরীক্ষা হচ্ছে কেন?’ সেই প্রশ্নের মধ্যে একটি ঘরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে ক্যামেরা। সেখানে দু’জন বসেছিলেন। তারপর ওই দু’জনকে সেই হল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তাঁদের ধাওয়া করেন ওই ব্যক্তি। আর ওই ব্যক্তি বলতে থাকেন, ‘আমি এই কলেজের একজন টিচার। এদের থেকে পয়সা খেয়ে প্রিন্সিপাল আলাদা করে (পরীক্ষা দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন)।’

তারইমধ্যে ক্যামেরা নিয়ে একটি রুমে যান ওই ব্যক্তি। সেখানে অপর দু’জনকে পুরো বিষয়টা জানান। যাঁরা অবজার্ভার হিসেবে সেট পরীক্ষার জন্য ওই কলেজে এসেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ভিডিয়োয় তাঁদের বলতে থাকেন, যে কক্ষে আলাদা করে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেটা তো বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে পারেন না। বিষয়টি অফিসার-ইন-চার্জকে জানানো হবে বলে দাবি করেন তাঁরা।

(Feed Source: hindustantimes.com)