পোষাচ্ছে না চাকরি, নতুন বছরে নয়া সংস্থায় যোগ দিতে চান ৪২ শতাংশ ভারতীয়

পোষাচ্ছে না চাকরি, নতুন বছরে নয়া সংস্থায় যোগ দিতে চান ৪২ শতাংশ ভারতীয়

কাজের বাজারে ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। নতুন কাজের সুযোগ কতটা তৈরি হবে তা নিয়েও আশঙ্কা বাড়ছে। এর মাঝেই পিডব্লিউসি (PwC)-এর একটি রিপোর্টে উঠে এল চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। যা রীতিমতো চিন্তায় ফেলতে পারে বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদের। গ্লোবাল কনস্টিটিউয়েন্সি ফার্ম পিডব্লিউসি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, লাখ লাখ কর্মী চান আগামী আর্থিক বছরে তাদের মাইনে বাড়ুক।

‘বড়’ দাবি করছে কর্মীরা

ওই রিপোর্ট মোতাবেক ৭৪ শতাংশ কর্মচারী মনে করে আগামী অর্থবর্ষে তাদের মাইনে বাড়ানো উচিত। পাশাপাশি ওই একই শতাংশ কর্মী পদোন্নতিও চান। জেনারেশন জেড, এক্স ও বুমারদের তুলনায় এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কর্মীদের পদের বিভাগটাও লক্ষণীয়। ৭৩ শতাংশ সিনিয়র এগজিকিউটিভ, ৭০ শতাংশ ম্যানেজার, ৬৩ শতাংশ ম্যানেজার নয় এমন কর্মীরা বেতন বৃদ্ধি চান।

চাকরিও পছন্দ হচ্ছে না আর

মাইনে বাডুক তা অনেকেই চান। কিন্তু সেটা কীভাবে? এর জন্য অনেকেই চাকরি বদল করার কথাও ভাবছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ৪২ শতাংশ ভারতীয় কর্মীরা বেশি মাইনের জন্য সংস্থা ছাড়তে তৈরি। তাদের বর্তমান সংস্থা ও পদ যে ঠিক পছন্দসই নয়, সে কথাও উঠে এসেছে সমীক্ষায়। অন্যদিকে সারা বিশ্বের নিরিখে ২৬ শতাংশ কর্মী চাইছেন তাদের চাকরি ছেড়ে নতুন চাকরিতে যোগ দিতে। মাইনে বাড়ার আশায়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে কী ভাবছেন কর্মীরা?

পিডব্লিউসি ইন্ডিয়ার পার্টনার কার্তিক ঋষি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কর্মীরাও এখন যথেষ্ট সচেতন হয়ে গিয়েছে। নিজেদের কর্মদক্ষতা বা স্কিল বাড়ানো এখন কতটা জরুরি, তা নিয়েই সচেতনতা বাড়ছে। শুধু তাই নয়, কেরিয়ার গড়তে হলে স্কিল লাগবে, এটাই এখন অনেকে বিশ্বাস করেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েও বড় ভাবনা রয়েছে কর্মীদের। ৫১ শতাংশ কর্মী মনে করেন এআই তাঁদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্তরে ৩১ শতাংশ এআই স্কিলের জন্য জরুরি বলে বিশ্বাস করেন। তবে কাজ করতে গেলে স্কিল অনেকটাই উন্নত হতে হবে। এমনটাই বিশ্বাস করেন ৬২ শতাংশ কর্মী।

এআই নিয়ে ভয়ে অনেকেই!

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষতি করতে পারে তাদের কাজের। এমনটা বিশ্বাস করেন ২৪ শতাংশ ভারতীয় কর্মী। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্তরে ১৪ শতাংশ কর্মী এমনটা মনে করেন। আবার ২১ শতাংশ ভারতীয় কর্মী মনে করেন তাদের কাজ ছিনিয়ে নিতে পারে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।

(Feed Source: hindustantimes.com)