ভারত অমৃতকালে প্রবেশ করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে যাবে। ২০৪৭, অর্থাৎ স্বাধীনতার ১০০ বছর হওয়ার আগেই দেশ উন্নত তকমা পাবে। এমন কথা অনেক সময়ই প্রধানমন্ত্রী মোদী সহ বিজেপির তাবড় নেতারা বলে থাকেন। এবার নাম না নিয়ে সেই দাবি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রঘুরাম রাজন। নীতি নির্ধারকদের দাবি যে কার্যত হাস্যকর, সেটাও অকপটে বলে দিয়েছেন তিনি।
ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ফের সরব হলেন আরবিআই-এর প্রাক্তন গর্ভনর রঘুরাম রাজন । রবিবার একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ভারত নিয়ে তাঁকে বেশ কিছু কড়া কথা বলতে শোনা যায়। তাঁর কথায়, উন্নত দেশ হতে হলে অপুষ্টির মতো সমস্যাগুলি নিয়ে ভারতের আরও ভাবা উচিত। পাশাপাশি ভারতের হিউম্যান ক্যাপিটাল অর্থাৎ বিপুল জনগণকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিলেন তিনি। রবিবার ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেসে (Indian school of business) একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে কথোপকথনে যোগ দিয়েছিলেন রঘুরাম। সেখানেই ভারতের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তাঁকে।
ভারতের অপুষ্টি (Malnutrition in India) নিয়ে কী বললেন তিনি?
তাঁর কথায়, ‘২০৪৭ সালের শেষে আমরা উন্নত ও ধনী দেশ হতে চাই। আমি এটাকে প্রায়ই উদাহরণ করে ব্যবহার করি। কিন্তু তুমি নিশ্চিতভাবে এটা নিয়ে হাসাহাসি করবে। কারণ দেশে অপুষ্টির হার ৩৫ শতাংশ। এই বিপুল অপুষ্টি নিয়ে ২০৪৭ সালে ভারত ধনী দেশ হবে শুনলে তা জোকস মনে হবে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, বর্তমানে যারা অপুষ্টিতে ভুগছে, ১০ বছর পর তাঁরা কর্মজীবনে প্রবেশ করবে। পাশাপাশিই বিপুল জনগণকেও গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন রঘুরাম রাজন। তাঁর কথায়, দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
মানুষই আসল মূলধন!
মানুষই আসল মূলধন। এমনটাও বলতে শোনার যায় প্রাক্তন আরবিআই গর্ভনরকে। তিনি দেশের জনগণকে হিউম্যান ক্যাপিটাল বলে উল্লেখ করে বলেন, এঁরাই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূলধন। ভারতে ১৪০ কোটি মানুষের বাস। যা বর্তমানে বিশ্বের যেকোনও দেশের তুলনায় অনেক বেশি। তাই তাদের সঠিকভাবে ব্যবহারের কথা বলেন রঘুরাম।
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সংস্করণ আনতে চেয়েছিলেন রঘুরাম রাজনের। সেই সময়ে মতানৈক্যের জেরে পদত্যাগ করেন তিনি। এই দিন সেই নিয়েও প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তিনি বলেন, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সংস্করণ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
(Feed Source: hindustantimes.com)