কী কথা হল?
এদিন বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে রাজ্যকে একটি পয়সাও দেয়নি কেন্দ্র।
আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। সব ব্যাখ্যা দেওয়া সত্ত্বেও টাকা দেয়নি কেন্দ্র। ‘ তাহলে কি প্রধানমন্ত্রীর তরফে কোনও আশ্বাস পাওয়া গেল ? মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘এ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের আধিকারিকদের মধ্যে যৌথ বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে দু’পক্ষের তথ্য আদান-প্রদান হবে। বৈঠকে আমাদের কথা শোনার পর জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী’, দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও দাবি করেন, ‘কেন্দ্রের থেকে ১ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উনি বিষয়টি মন দিয়ে শুনেছেন, আশ্বাসও দিয়েছেন।’ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ২৫ মিনিটের সাক্ষাৎ-শেষে বিজয় চকে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগে গত বছরের ৫ অগাস্ট, মোদি-মমতা একান্ত বৈঠক হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যের দাবি ছিল, একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা-সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে তাদের পাওনা ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা।
আর এদিন যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে তখন আচমকাই নবান্নে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় ঢুকে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর কোনও আগাম খবর ছাড়াই নবান্নে হাজির হন শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন বিধায়কও। আচমকা বিরোধী দলনেতা নবান্নে পৌঁছে যাওয়ায় গোটা এলাকাজুড়ে সাজো সাজো রব পড়ে যায়। তড়িঘড়ি মোতায়েন করা হয় বাড়তি পুলিশকর্মী। নবান্নের গেটে মোতায়েন করা হয় বাড়তি মহিলা পুলিশকর্মীও। নবান্ন থেকে বেরিয়ে এসে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে বঞ্চনার কথা বলে নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য সরকার’।
(Feed Source: abplive.com)