Switzerland: গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধা নিয়ে হবে ভোট, চলছে জোর প্রস্তুতি…

Switzerland: গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধা নিয়ে হবে ভোট, চলছে জোর প্রস্তুতি…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘণ্টা বললেই প্রাণীদের মধ্যে বেড়ালের কথাই ওঠে। ‘বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে’– এটা একটা চেনা লব্জ। কিন্তু ঘণ্টার সঙ্গে গরুর কী সম্পর্ক? তা আছে বৈকি। গরুর গলায় ঘণ্টা থাকবে কি থাকবে না– এই নিয়ে ভোট! ভাবা যায়? গল্পের গরু গাছে ওঠে, তবে এ গল্পের গরু নয়, বাস্তবের। এই গরুকে ঘিরে সত্যিই তৈরি হয়েছে ভোটগ্রহণের পরিস্থিতি। ঘটনা সুইজারল্যান্ডের।

ঘটনাস্থল সুইজারল্যান্ডের আরওয়ানজেন গ্রাম। এ বছরের শুরুর দিকে আরওয়ানজেন গ্রাম থেকে এক অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, গরুর গলায় বাঁধা ঘণ্টার শব্দে রাতে ঘুমনো দায় হচ্ছে সেখানকার অধিবাসীদের। এক আবাসিক এলাকার পাশের মাঠে থাকে ১৫টি গরু। যত নষ্টের গোড়া নাকি এরাই। মাঠের পাশেই এক অ্যাপার্টমেন্টে যাঁরা থাকেন, তাঁরা বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন এই মর্মে যে, ওই গরুগুলির গলায় বাঁধা ঘণ্টাটি রাতে কৃষকেরা যেন খুলে নেন! কিন্তু গরুর গলায় বাঁধা ঘণ্টা সুইজারল্যান্ডে ঐতিহ্যবাহী এক প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত। ফলে, গরুর গলা থেকে ঘণ্টা খুলে নেওয়ার আবেদনে স্থানীয়দের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। শেষে এ নিয়ে ভোটের দাবি ওঠে।

আরওয়ানজেনের মেয়র অবশ্য এই ঘটনায় স্তম্ভিত। বলেন, তিনি প্রথমবারের মতো এমন অভিযোগ শুনলেন, এবং শুনে তিনি অবাক! গরু যে সত্যিই এত ডিস্টার্বিং তা তাঁর বোধের বাইরে ছিল! আরওয়ানজেনের মেয়র মজা করে বলেছেন, ‘তবে জানতে পারলাম এরাও মানুষকে বিরক্ত করতে পারে!’ আর বিষয়টি যে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে সেটিও তাঁকে অবাক করেছে।

অভিযোগের পক্ষে গ্রামের মোট বাসিন্দাদের ১০ শতাংশের সমর্থন দরকার ছিল। গ্রামের মোট ৪৮০০ বাসিন্দা। গ্রামবাসীরা অবশ্য ‘বেল ইনিশিয়েটিভে’র পক্ষে, অর্থাৎ, গরুর গলায় ঘণ্টা বাঁধার পক্ষে ১০৯৯ টি সই সংগ্রহ করেছেন। বলা হয়েছে, গরুর গলায় সব সময় ঘণ্টা বেঁধে রাখার অধিকার কৃষকদের আছে!তবে বিষয়টি এখানেই থামছে না। এ নিয়ে আগামী বছরের জুনে ভোটাভুটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আল্পস পবর্তমালার চারণভূমিতে চরে বেড়ানো গৃহপালিত পশুদের অবস্থান জানার জন্য একসময় তাদের গলায় ঘণ্টা বাঁধার এই ব্যবস্থা অপরিহার্য ছিল। তবে জিপিএস ট্র্যাকার এসে যাওয়ার পরে ঘণ্টার প্রয়োজনীয়তা কমে। যদিও তা সুইসজীবনে এক প্রতীক হিসেবে ঠাঁই পেয়ে যায়। এবং বিষয়টি এমন এক উচ্চতায় ওঠে যে, তা ইউনেসকোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকাতেও স্থান করে নেয়!

(Feed Source: zeenews.com)