এবার সিআইএসএফের হাতে যাচ্ছে সংসদের সুরক্ষার দায়িত্ব, আর দিল্লি পুলিশ নয়

এবার সিআইএসএফের হাতে যাচ্ছে সংসদের সুরক্ষার দায়িত্ব, আর দিল্লি পুলিশ নয়

এবার সংসদ ভবনের সুরক্ষার দায়িত্ব থাকবে সিআইএসএফের হাতে। বুধবার এনিয়ে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের হাত থেকে সংসদ চত্বরের সুরক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব চলে যাচ্ছে সিআইএসএফের হাতে। এমনকী পার্লামেন্ট চত্বরে এবার থেকে দেহ তল্লাশিও করবে সিআইএসএফ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মঙ্গলবার এব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে।

গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের দর্শক আসন থেকে দুই যুবক ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সংসদের ভেতর। তাদের হাতে ছিল স্মোক ক্যান। এই ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। এরপরই সংসদের নিরাপত্তাকে ঘিরে বড় প্রশ্নচিহ্ন ওঠে।

সিআইএসএফের ওয়েবসাইট অনুসারে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ৩৫০টি লোকেশনে সুরক্ষার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ। তার মধ্য়ে দেশের বহু এয়ারপোর্ট ও একাধিক সংবেদনশীল জায়গা রয়েছে।

দেশের অত্যন্ত দক্ষ ফোর্স হিসাবে গণ্য করা হয় সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সকে। দেশের অধিকাংশ বিমানবন্দরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন সিআইএসএফের জওয়ান ও আধিকারিকরাই।

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, সিআইএসএফ এবার সংসদের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এনিয়ে পার্লামেন্ট বিল্ডিংয়ে সার্ভে করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো সেখানে সিআইএসএফ জওয়ান ও আধিকারিকদের মোতায়েন করা হবে। ফায়ার উইংও থাকবে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দিল্লি পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, অমল শিন্ডে, নীলম দেবী, ললিত মোহন ঝা সেদিন সাতটি স্মোক ক্য়ান নিয়ে সংসদের কাছে এসেছিলেন।

তারা সংসদে আগুনে আত্মহুতি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। পিটিআই সূত্রে খবর। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা তারা করেননি।

দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, তারা সরকারের কাছে কিছু বার্তা দিতে চাইছিলেন। লোকসভার চেম্বারে লাফিয়ে পড়ার আগে তারা আরও কয়েকটি প্ল্য়ানকে নিয়ে কথাবার্তা বলেছিলেন।

প্রথম তারা ভেবেছিলেন ফায়ারপ্রুফ জেল দিয়ে গোটা শরীরে মেখে তারা গায়ে আগুন লাগিয়ে দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনা তারা বাস্তবায়িত করেননি।

পার্লামেন্টের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু পুরানো ভিডিয়ো তারা সার্চ করে দেখেছিলেন। সেই মতো তারা পার্লামেন্ট সংক্রান্ত বিষয়গুলি গুগলে সার্চ করেছিলেন।

পুলিশের চোখে ধুলো দিতে তারা সিগনাল অ্যাপ ব্যবহার করতেন। ওদের মূল লক্ষ্য ছিল যাতে মিডিয়ার কভারেজটা ভালো হয়। সেকারণে অধিবেশনের মধ্য়েই তারা এই কাজ করেন। তবে জুতোর মধ্য়ে কীভাবে তারা স্মোক ক্যান নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন, কেন সেগুলি ধরা পড়ল না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে এবার অত্যন্ত প্রশিক্ষিত ফোর্সের হাতে যাচ্ছে পার্লামেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্ব।

(Feed Source: hindustantimes.com)