বছর শুরুর আগে কোভিড-কাঁটা, লম্বা লাফ সারা দেশের করোনা-গ্রাফে

বছর শুরুর আগে কোভিড-কাঁটা, লম্বা লাফ সারা দেশের করোনা-গ্রাফে

নয়াদিল্লি:  বর্ষবরণের আগে ফের ভাবাচ্ছে কোভিড। ২০২২  এর বর্ষবরণের পরই আছড়ে পড়েছিল ওমিক্রন ঢেউ। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড। আবার একটা বর্ষবরণের দোর গোড়ায় দাঁড়িয়ে চোখ রাঙাচ্ছে সেই সংক্রামক রোগ।

ভারতের করোনা আপডেট

ভারত সরকারের ( Govt Of India ) দেওয়া শুক্রবারের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় ৫৯৪ টি নতুন কোভিড ( Covid 19 ) কেস ধরা পড়েছে সারা দেশে।   কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে সারা দেশে করোনার ( Coronavirus ) সক্রিয় কেসের সংখ্যা আগের দিন ছিল ২৩১১। ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে ২৬৬৯ হয়েছে। দেশে এতদিনে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪.৫০ কোটি (৪,৫০,০৬,৫৭২)। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫,৩৩,৩২৭।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন আরও ৬ জন। এর মধ্যে তিনজন কেরালার, দুইজন কর্ণাটকের এবং একজন পাঞ্জাবের। স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুর ঘটনাগুলো আবার আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। কিন্তু আক্রান্তদের সবার রক্তের নতুনা জেনম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হলে, তবেই বোঝা যাবে এর পিছনে করোনা কোন ভ্যারিয়েন্ট দায়ী। আস্তে আস্তে প্রতিটি রাজ্য থেকেই কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে । কর্ণাটক থেকে রাজস্থান, বাংলা থেকে কেরল – সব জায়গাই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।

বাংলার করোনা আপডেট

অন্যদিকে,  পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। এদের মধ্যে, বেলভিউতে ভর্তি রয়েছেন ২ জন। একজন মিডলটন রো ও অপর আক্রান্ত ভবানীপুরের বাসিন্দা। উডল্যান্ডসে ভর্তি রয়েছেন ভবানীপুরের আরেক বাসিন্দাও। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ৬ মাসের এক শিশু। অন্যদিকে, আমরি হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় গত ৫ দিনে ৪ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি যাদবপুরে। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। এদের মধ্যে কেউ কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কিনা বোঝা যাবে জেনোম সিকোয়েন্সিয়ের রিপোর্ট আসার পরই।

কতটা চিন্তার বিষয়

বেশ কয়েকমাস হল   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, WHO কোভিড -19 কে আর জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা বলছে না। কিন্তু তাও পিছু ছাড়ছে না ভাইরাস। চিকিৎসকদের মতে, কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি বেশ কয়েকটি নতুন সাবভ্যারিয়েন্টে পরিবর্তিত হয়েছে। সম্প্রতি  JN.1 সাব ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে,, যার ফলে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে কারও কারও অভিমত। যদিও বিশেষজ্ঞরা এখনই এটিকে একটি নতুন তরঙ্গ বলছে না।  চিকিৎসকদের মতে আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করে দেখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরা।

(Feed Source: abplive.com)