জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেই সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা সারা বিশ্বে ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বেড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়।
২০ নভেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর, এই ২৮ দিনে ১০৫টি দেশ নতুন করে কোভিডের সংক্রমণের কথা জানিয়েছে। আর ৫০টি দেশ জানিয়েছে কোভিডে মৃত্যুর কথাও। তবে মৃত্যুর হার কমেছে ৮ শতাংশ। যদিও সংক্রমণের হার বেড়েছে ৫২ শতাংশ। ২৮ দিনে মোট নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার। যেখানে মোট মৃত ৩০০০।
WHO-এর গ্রাফ অনুযায়ী আফ্রিকা অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণ ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। ওদিকে আমেরিকায় সংক্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। মধ্যপ্রাচ্যেও সংক্রমণের হার কমেছে ৫১ শতাংশ।তবে ইউরোপে আবার সংক্রমণের বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেই সংক্রমণের হার সর্বাত্মক। ২৮ দিনে সংক্রমণ বেড়েছে ৩৮৮ শতাংশ। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও বেড়েছে কোভিডের সংক্রমণ। কোভিড সংক্রমণের হার বেড়েছে ৬৭ শতাংশ।
এখন কোভিডের এই নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর জেরেই বাড়ছে সংক্রমণ। এই সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1 হচ্ছে BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টেরই বংশধর। যে BA.2.86 ভ্যারিয়ান্টকে নাম দেওয়া হয়েছে পিরোলা। এখন সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-এর স্পাইক প্রোটিনে মাত্র একটাই অতিরিক্ত মিউটেশন থাকে। যেখানে পিরোলার স্পাইক প্রোটিনে ৩০টিরও বেশি মিউটেশন থাকে। এই স্পাইক প্রোটিনই মানব কোষের রিসেপটরকে আকৃষ্ট করে ও ভাইরাসকে শরীরের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়।
এখন সারা বিশ্বে সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-এর সংক্রমণ বাড়লেও, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। WHO জানিয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই একবার কোভিড সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে বা ভ্যাকসিন নেওয়া আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মানব শরীর থেকে স্বাভাবিকভাবে নিঃসৃত সিরাম-ই পিরোলা ও সাব-ভ্যারিয়ান্ট JN.1-কে প্রতিহত করবে। পাশাপাশি, সাবধানতা হিসেবে পরতে হবে মাস্ক।
(Feed Source: zeenews.com)