ভাল কিছুর জন্য প্রথম পদক্ষেপ, কুস্তি সংস্থা বরখাস্ত হতেই উচ্ছ্বসিত সাক্ষী

ভাল কিছুর জন্য প্রথম পদক্ষেপ, কুস্তি সংস্থা বরখাস্ত হতেই উচ্ছ্বসিত সাক্ষী
নয়াদিল্লি: যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিংহ (Sanjay Singh) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ক্ষোভে অবসর ঘোষণা করেছিলেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, আর দঙ্গল লড়বেন না। রবিবার যখন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক নবনির্বাচিত কুস্তি সংস্থাকে বরখাস্ত করল, কিছুটা স্বস্তিতে রিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ী পালোয়ান সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik)।

ক্রীড়ামন্ত্রকের ঘোষণার পরই সাক্ষী বলেছেন, ‘ভাল কিছুর জন্য প্রথম পদক্ষেপ। আশা করছি সরকার বুঝবে আমরা লড়াইটা কীসের জন্য করছিলাম। মহিলা প্রেসিডেন্ট হলে দেশের মহিলা কুস্তিগীরদের জন্য তা নিরাপদ। দেশের সমস্ত মেয়ে ও বোনেদের জন্য আমাদের এই লড়াই।’

হস্তক্ষেপ করেছে সরাসরি ক্রীড়ামন্ত্রক। বরখাস্ত করেছে জাতীয় কুস্তি সংস্থাকেই (WFI)। জানিয়ে দিয়েছে, নবনির্বাচিত প্যানেল নির্বাসিত। ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থাকে বলা হয়েছে, কুস্তির তদারকি করার জন্য অ্যাড হক কমিটি তৈরি করার।

যদিও নির্বাসন তোলার ব্যাপারে আবেদন করা হবে বলে জানালেন সঞ্জয় সিংহ (Sanjay Singh)। যিনি যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংহ শরনের ঘনিষ্ঠ। এবং ২১ ডিসেম্বর ৪০-৭ ভোটে জিতে জাতীয় কুস্তি সংস্থার নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।

ক্রীড়া মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত জানার পর সঞ্জয় সিংহ বলেছেন, ‘আমরা ক্রীড়ামন্ত্রককে নির্বাসন তুলে নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি। আমরা সময় চেয়ে নিচ্ছি। কথাবার্তায় কাজ না হলে আইনি পদক্ষেপের দিক তো খোলা রইলই।’

কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সঞ্জয় সিংহের কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর তড়িঘড়ি অনূর্ধ্ব ১৫ ও অনূর্ধ্ব ২০ প্রতিযোগিতা ঘোষণা করেছিল। এই ঘোষণা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে করা হয় বলে জানিয়েছে সরকার। কোনও প্রতিযোগিতার আগে অন্তত ১৫ দিনের নোটিশ দিতে হয় বলে জানিয়েছে সরকার। কুস্তিগীরদের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হয়। কিন্তু কোনও নিয়মই মানা হয়নি।

এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ”জাতীয় পর্যায়ে কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজন করার হলে কার্যনির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর কমিটির সামনে এজেন্ডা পেশ করতে হয়। তা নিয়ে আলোচনা হয়, তারপর বৈঠকে সেই সংক্রান্ত ইস্যুর ওপর ভোটাভুটি হয়। কিন্তু কোনও নিয়মই মানা হয়নি।”

যদিও সঞ্জয় সিংহ বলেছেন, ‘আমরা ব্যাখ্যা করে দেব যে, নিয়ম মেনেই সব পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার স্বপক্ষে প্রমাণও পেশ করব।’

(Feed Source: abplive.com)