হাজার জনের চাকরি খেয়েছে AI, ছাঁটাই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ হতেই অকপট পেটিএম

হাজার জনের চাকরি খেয়েছে AI, ছাঁটাই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ হতেই অকপট পেটিএম

২০২৩ সালের শেষ লগ্নে এসে মাথায় হাত পেটিএম-এর বহু কর্মীর। রিপোর্ট অনুযায়ী, পেটিএম-এর বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত প্রায় ১০০০ জনের চাকরি গিয়েছে সম্প্রতি। এদিকে রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, নতুন বছরে আরও বহু কর্মীর চাকরি যেতে পারে পেটিএম-এ। এই আবহে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে মুখ খুলেছে পেটিএম। তাদের দাবি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জেরেই চাকরি গিয়েছে এতজনের। রিপোর্ট অনুযায়ী, পেটিএম-এর মালিক সংস্থা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনস বিভিন্ন শাখায় কর্মরত প্রায় ১০০০ জনকে ছাঁটাই করেছে। ইকোমনিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থার খরচ কমাতেই বছর শেষে এই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে পেটিএম। নতুন বছরেও সংস্থার আরও বেশ কিছু কর্মীর চাকরি যেতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে সেই রিপোর্টে।

উল্লেখ্য, সংস্থার বিভিন্ন বাণিজ্যিক শাখাকে এক সূত্রে গাঁথার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পেটিএম। এই আবহে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই ধাপে ধাপে কর্মী ছাঁটাই জারি রেখেছিল পেটিএম। ভারতীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলির মধ্যে এবছর পেটিএম-এর মতো এত কর্মী ছাঁটাই খুব সংস্থাই করেছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। তবে এখনও নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি সংস্থা। এই আবহে ২০২৪ সালেও কর্মী ছাঁটাই জারি থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে পেটিএম-এর অকপট বক্তব্য, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জেরেই অনেক পদ অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছিল। তাই সংস্থা সেই সব পদ থেকে কর্মীদের সরিয়ে দিয়েছে।

এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, পেটিএম-এর প্রায় ১০ শতাংশ কর্মী বিগত কয়েক মাসে চাকরি হারিয়েছেন। এদিকে সংস্থার অর্থনৈতিক কাঠামোকেও নতুন ধাঁচে গড়ে তুলছে পেটিএম। এরই মাঝে বিনিয়োগের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই স্বভাবতই কোপ গিয়ে পড়ছে সংস্থার কর্মীদের ওপরে। জানা গিয়েছে, পেটিএম-এর ধার সংক্রান্ত ব্যবসা থেকেই সব থেকে বেশি কর্মী ছাঁটাই হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছোট পরিমাণ ঋণ বা ‘এখন কিনুন, পরে টাকা দিন’-এর মতো পরিষেবা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে আরবিআই। যার জেরে পেটিএম এই শাখা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এতে ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে। তার পাশাপাশি এই শাখায় কর্মরত ব্যক্তিদেরও সংস্থা ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে এবছর পেটিএম-এর শেয়ারের দামেও বিশাল ধস নেমেছিল। ডিসেম্বরের ৭ তারিখে সংস্থার শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় ২০ শতাংশ নেমে গিয়েছিল। পেটিএম ‘পোস্টপেড প্ল্যান’ (ক্ষুদ্র ঋণ সংক্রান্ত পরিষেবা) বন্ধের ঘোষণার পরই এই ধস নেমেছিল পেটিএম-এর শেয়ারে।

(Feed Source: hindustantimes.com)