ব্যাখ্যাকারী: কেন আমেরিকান সেনাবাহিনী ইরাকে আক্রমণ করেছিল?

ব্যাখ্যাকারী: কেন আমেরিকান সেনাবাহিনী ইরাকে আক্রমণ করেছিল?

আমেরিকা কেন হিজবুল্লাহ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে?

বিশেষ জিনিস

  • আমেরিকান সেনাবাহিনী কেন ইরাকে আক্রমণ করেছিল?
  • সিরিয়ায় আমেরিকান সৈন্যদের উপর হামলার প্রতিক্রিয়া
  • রবিবার ইরবিল বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় হিজবুল্লাহ

নতুন দিল্লি:

মার্কিন সেনাবাহিনী ইরাকের হিজবুল্লাহ (ইরাকের কাতাইব হিজবুল্লাহর উপর ইউএস স্ট্রাইক) এবং এর সাথে সম্পর্কিত গোষ্ঠীগুলির অবস্থানগুলিতে আক্রমণ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয়েছে। প্রথম হামলায় তিনজন মার্কিন কর্মী আহত হওয়ার পর মার্কিন সামরিক বাহিনী ইরাকে ইরান-সমর্থিত বাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত তিনটি স্থানে হামলা চালায়। প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এই হামলাকে “প্রয়োজনীয়” এবং “আনুপাতিক” বলে বর্ণনা করেছেন।

আমেরিকা কেন ইরাকে হামলা করল?

মার্কিন সামরিক বাহিনী হিজবুল্লাহ ও তার সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর তিনটি ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করেছে। ইরাক ও সিরিয়ায় আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের হামলার জবাবে আমেরিকা এসব হামলা চালিয়েছে। আসলে, ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ রবিবার ইরবিল বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, যাতে তিনজন মার্কিন সেনা আহত হয়। হোয়াইট হাউস থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড্রোনের মাধ্যমে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং এর জন্য ইরানকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। এর পর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ইরাকি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার নির্দেশ দেন।

100 বারের বেশি মার্কিন সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে

আমেরিকার তরফে জারি করা বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, আমেরিকান সৈন্য ও ঘাঁটিতে হামলা অব্যাহত থাকলে আমেরিকা যোগ্য জবাব দেবে। আমরা আপনাকে বলি যে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত ইরাক এবং সিরিয়ায় আমেরিকান বাহিনীকে লক্ষ্য করে 100 টিরও বেশি হামলা হয়েছে। 22 ডিসেম্বর পর্যন্ত 102টি হামলার মধ্যে 47টি ইরাকে এবং 55টি সিরিয়ায়। এসব হামলায় ড্রোন, রকেট, মর্টার এমনকি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ হামলাই লক্ষ্যে পৌঁছায়নি বা লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়।

হামলায় ৭০ মার্কিন সেনা আহত হয়েছে

এসব হামলায় প্রায় ৭০ জন মার্কিন সেনার সামান্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর ইসরাইল গাজায় সামরিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। আসলে আমেরিকা ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। এ কারণে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের পাশাপাশি ইরাক ও সিরিয়ায় আমেরিকার সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে। এদিকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সোমবারের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সিনিয়র উপদেষ্টা সৈয়দ রাজি মুসাভি নিহত হন। সিরিয়ায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের শীর্ষ কমান্ডারদের মধ্যে ছিলেন মুসাভি। এটা স্পষ্ট যে একদিকে আমেরিকা অন্যদিকে ইসরাইল ইরান ও তার সমর্থিত দলগুলোকে টার্গেট করছে।

(Feed Source: ndtv.com)