পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন (Matrimonial ad) মানেই খবরের কাগজের একটা জরুরি কলাম। সেই কলামের দিকে অনেকেই মুখিয়ে থাকেন। বিয়ের জন্য অনেক পাত্রপাত্রী ও তাদের বাবা-মা ওই কলামের উপর নির্ভরশীল। তবে এই কলামই মাঝে মাঝে কৌতুকের খোরাক হয় ওঠে। কারণ বিজ্ঞাপনের আজব সব দাবি। বিভিন্ন সময় সেই সব দাবিসমেত বিজ্ঞাপনটি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি তেমনটাই হল। ইন্টারনেটে দেখা গিয়েছে, এমনই একটি পাত্রপাত্রীর বিজ্ঞাপন। যেখানে এক পাত্রী বিয়ের জন্য আজব শর্ত দিয়েছে। আর সেই শর্ত হল ‘শর্ট ম্যারেজ (Short Marriage)’।

বিজ্ঞাপনের ‘আজব’ দাবি

বিজ্ঞাপনে (Short Marriage in Matrimonial Ad) বলা হয় পাত্রী একটি ধনী পরিবারের কন্যা। মুম্বইয়ের বাসিন্দা ওই পাত্রী শর্ট ম্যারেজের জন্য আগ্রহী। পাত্রী একজন ব্রাহ্মণ ডিভোর্সি ও শিক্ষিতা। ১৯৮৯ সালে জন্ম পাত্রীর। উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। বর্তমানে ওই পাত্রীর নিজস্ব একটি হসপিটালিটি বিজনেস রয়েছে বলে জানাচ্ছে বিজ্ঞাপন। পাশাপাশি লেখা হয়েছে পাত্রের জন্য কাস্ট বা বর্ণ কোনও বাধা হবে না। এই বিজ্ঞাপন দেখেই হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়।

শর্ট ম্যারেজ আদতে কী?

কম সময়ের জন্য বিয়ে করাকে শর্ট ম্যারেজ বলা হয়। শর্ট ম্যারেজ সাধারণত পাঁচ বছরের কম সময়ের বিবাহবন্ধনকে বোঝানো হয়ে থাকে। কমপক্ষে এক বছর সেই বিয়ে টিকবে। এই বিয়ের সময়সীমা কমপক্ষে এক বছর। অন্যদিকে সাধারণভাবে পাঁচ বছর এই বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বৈধ থাকতে পারে। তবে এই গোটাটাই বলছে অন্যান্য দেশের আইন।

হাসির রোল নেটদুনিয়ায়

অনেকেই মনে করছেন ‘মেড ইন হেভেন’-এর সিরিজ দেখে এই বিজ্ঞাপনদাতা উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। ‘মেড ইন হেভেন’-এ ব্রিফ ম্যারেজ দেখানো হয়েছে। ব্রিফ ম্যারেজ আর শর্ট ম্যারেজ একই ব্যাপার। পোস্টদাতা পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন ‘শর্ট ম্যারেজ???’ অর্থাৎ, ব্যাপারটায় তিনি বেশ অবাক হয়েছেন। পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়। এক নেটিজেন ব্যঙ্গ করে কমেন্টে লেখেন ‘সেই সিরিজেরই পরের পার্ট এবার বিজ্ঞাপনদাতা দেখাতে চলেছেন।’ আরেক নেটিজেনের কথায়, ‘চার পাক দিতে না দিতেই বিয়ের সব রীতিকানুন শেষ হয়ে যাবে।’ অন্য এক নেটিজেন লেখেন, ‘মেয়েটি পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি লম্বা। তাই হয়তো শর্ট ম্যারেজ করতে চান তিনি!’