জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশে কোভিড-আতঙ্ক শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কিছুদিন হল। এর মধ্যে সব চেয়ে ভয়ের যেটা ছিল, তা হল আবার একটি নতুন ভ্যারিয়েন্টের আবির্ভাব। নতুন ভ্যারিয়েন্ট মানেই নতুন করে বহু মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়া। নতুন করে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়া। ফের বহু মৃত্যু, তজ্জনিত আতঙ্কের আবহ, সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের অসহায়তা। সব মিলিয়ে এক জটিল অবস্থা। মঙ্গলবার পর্যন্ত গোটা দেশে ১০৯ জনের শরীরে করোনার নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, একদিনে দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৭৫২ জনের শরীরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত এক মাসে, গোটা বিশ্বে করোনার দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে ৫২ শতাংশ। আক্রান্তের শীর্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাত। ওই রাজ্যে ৩৬ জনের শরীরে মারণ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১০৯ জনের শরীরে জেএন.১ সাব ভ্যারিয়েন্টের সং ক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
তার মধ্যে ৩৬ জন গুজরাতের বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে ৩৪ জন কর্নাটকের, ১৪ জন গোয়া, ৯ জন মহারাষ্ট্রের, ছয়জন কেরলের বাসিন্দা। এছাড়া তামিলনাডু ও রাজস্থানের চারজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক ও মিজোরামের মতো একাধিক রাজ্যে একাধিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশের একাধিক স্থানে করোনা বিধি মানতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এ ছাড়া মিজোরামে উৎসবের মরশুমে করোনাবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে৷ কর্ণাটকেও করোনা বিধি মানতে বলা হয়েছে৷
রাজ্য সরকারের তরফে করোনা মোকাবিলা করার জন্যে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শ্বাসকষ্ট বা ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগীদের চিকিৎসার জন্য় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। কোভিড টেস্টের পরিকাঠামোও পরিদর্শন করেছে স্বাস্থ্য দফতরের স্পেশাল টিম। তবে জেএন.১-এর লক্ষণগুলোর সঙ্গে করোনার আগের ধরনের উপসর্গগুলোর সাদৃশ্য আছে। যেমন জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, ইত্যাদি লক্ষ করছেন চিকিৎসকেরা।
(Feed Source: zeenews.com)